সমকালীন প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে ফের হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা ক্রমশ ভেন্টিলেশনের দিকে এগোচ্ছে। সোমবার টুঁটি চেপে হারিয়ে দিয়ে গেল গুজরাত টাইটান্স। ১২ পয়েন্টে পৌঁছে গেলেন শুভমন গিলরা। মাত্র ৮টি ম্যাচ খেলে। প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে।
এখান থেকে বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে গিল-রশিদ খানরা ট্রফির দৌড়ে থাকছেন। ঠিক যেরকম এখান থেকে প্লে অফে উঠতে গেলে কেকেআরের প্রয়োজন অঘটন। থুড়ি, অলৌকিক কিছু। সোমবারের পর পরিবর্তিত সমীকরণ দাঁড়াল, বাকি ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিততে হবে নাইটদের। তবে পৌঁছানো যাবে ম্যাজিক ফিগার ১৬ পয়েন্টে।
ইডেনে যে বাইশ গজে সোমবার কেকেআর বনাম গুজরাত টাইটান্স ম্যাচ হল, সেই পিচেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন নাইটরা। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর তুলেছিল ২০০। জবাবে হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং বিপর্যয় হয়। ৮০ রানে ম্যাচ জিতেছিলেন অজিঙ্কা রাহানেরা।
সেই পিচেই সোমবার টস জিতে কি না প্রথমে ফিল্ডিং নিলেন রাহানে! মাঝের কয়েকদিনে এমন কী ঘটে গেল যে, কেকেআর-হায়দ্রাবাদ ম্যাচের পিচ নিয়ে কেকেআরের ধারণা আমূল বদলে গেল? রাহানে টসের পরই বলে দিলেন, 'পিচ শুকনো।' সেই কারণেই তিন স্পিনার খেলাল কেকেআর। রাহানে জানিয়ে দিলেন, ইডেনে রান তাড়া করাই সব সময় ভাল বিকল্প।
বাস্তবে দেখা গেল, ইডেনের বাইশ গজ শুরুতে ব্যাটিংয়ের জন্য স্বর্গ ছিল। যে উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৮ তুলল গুজরাত। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খেল কেকেআর। কুইন্টন ডি'কককে বাদ দিয়ে এদিন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে খেলিয়েছিল কেকেআর। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১ রানে ফিরলেন আফগান উইকেটকিপার ব্যাটার।
সুনীল নারিন বল হাতে মার খেয়েছেন। ব্যাটেও ব্যর্থ। সবচেয়ে করুণ দশা বেঙ্কটেশ আইয়ারের। ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার প্লেয়ার ১৯ বলে করলেন ১৪ রান! দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, আইয়ার কি টেস্ট দলে জায়গা পাকা করতে নেমেছেন? লড়াই যেটুকু করলেন, তা করলেন রাহানে।
৩৬ বলে ৫০ রানে তিনি ফিরতেই কেকেআর শিবিরে আঁধার নামল। রিঙ্কু, রাসেলরা কখনওই দলকে জেতার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারেননি। ১৫৯ স্কোরে আটকে গেল কেকেআর। ৩৯ রানে ম্যাচ হারল শাহরুখ খানের দল। ঘরের মাঠে মুখ পুড়ল নাইটদের। ইডেনে করব, লড়ব, জিতব রে স্লোগানও বেলাইন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন