সমকালীন প্রতিবেদন : পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১১২ রান তাড়া করতে নেমেছিল কেকেআর। শুরুতে জোড়া ধাক্কা খেলেও রাহানে ও অঙ্গকৃশ রঘুবংশী যখন খেলছিলেন, তখন দেখে মনে হচ্ছিল, হাসতে হাসতে জিতবে কলকাতা। এমনকি, পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু ৭.৪ ওভারের মাথায় যুজবেন্দ্র চাহালের বল রাহানের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেন। তার পরেই নাটক রাহানের।
আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাজঘরের দিকে ফিরছিলেন রাহানে। তিনি ভেবেছিলেন আউট হয়ে গিয়েছেন। পরে রঘুবংশী তাঁকে ডাকেন। সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেন রাহানে। তার পরেও রিভিউ নেননি। সোজা হাঁটা দেন ডাগআউটের দিকে। যেখানে খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, বল অফস্টাম্পের বাইরে লেগেছে, সেখানে রাহানে রিভিউ নিলেন না।
অনেকেই মনে করছেন, রাহানের এই একটা সিদ্ধান্তই কেকেআরকে হারিয়ে দিল। কারণ, পরে সেই মুহূর্তের রিপ্লেতে দেখা যায়, বল অফস্টাম্পের বাইরে প্যাডে লেগেছে। অর্থাৎ, রিভিউ নিলে রাহানে নটআউট থাকতেন। যখন রিপ্লে দেখানো হচ্ছে, তখন ডাগআউটে থমথমে মুখে বসে কলকাতার অধিনায়ক। ৬২ রানে ৩ উইকেট থেকে ৭৯ রানে ৮ উইকেট পড়তে দেখলেন রাহানে।
কী ভাবে একটা জেতা ম্যাচ হারতে হয় সেটা দেখলেন রাহানে। শেষ পর্যন্ত হারের দায় নিজের কাঁধে নিলেন অধিনায়ক। কিন্তু তাও ম্যাচ শেষে রাহানে বলেন, “কিচ্ছু ব্যাখ্যা করার নেই। কী হয়েছে তা সকলেই দেখেছে। দলের খেলায় আমরা হতাশ। ভুল শট খেলে আউট হলাম। এই হারের দায় আমার।”
কিন্তু তিনি তো আউট ছিলেন না। একবারও কি তা মনে হয়নি? সতীর্থ রঘুবংশী কী বলেছিলেন তাঁকে? রাহানে বলেন, “অঙ্গকৃশ নিশ্চিত ছিল না। ওর মনে হচ্ছিল আম্পায়ার্স কল হতে পারে। আমিও নিশ্চিত ছিলাম না। ওই সময় রিভিউ নষ্ট করতে চাইনি।” রাহানের এই কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি বুঝতেই পারেননি যে বল অফস্টাম্পের বাইরে লেগেছিল।
একজন ব্যাটারের কাছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাহানে তো টেকনিক্যাল ব্যাটার। তাঁর কাছে এই ভুল আশা করা যায় না। যেখানে তিনি ভাল খেলছেন, যেখানে তাঁর মনে কিছুটা হলেও সন্দেহ রয়েছে, সেখানে তো তাঁর রিভিউ নিতেই হতো। এই সহজ বিষয়টি মাথায় ঢুকল না তাঁর।
যেখানে আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচের পর পয়েন্ট তালিকায় বদল হচ্ছে, সেখানে এই রকম একটি ম্যাচে রানরেট বাড়ানোর কথা একজন অধিনায়ক ভাববেন না। তা হলে আর কবে ভাববেন তিনি? ফের হারের পর নাইট সেনাপতি রাহানেকে ঘিরে উঠছে এমনই সব প্রশ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন