Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

‌স্কুলের ঘন্টা বাজাচ্ছেন সহশিক্ষকেরা

School-hours

সমকালীন প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুলের একমাত্র করণিক এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী চাকরি হারা হয়ে পড়ায় চুলের দরজার খোলা থেকে শুরু করে ঘন্টা দেওয়ার কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। রাজ্যের একাধিক স্কুলের পাশাপাশি এমনই চিত্র ধরা পরল বনগাঁর বল্লভপুর বিশ্বম্ভর বিদ্যাপীঠে (উ:মা:)।

বনগাঁর কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুর গ্রামে অবস্থিত বল্লভপুর বিশ্বম্ভর বিদ্যাপীঠে (উ:মা:) এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫০০ এর কাছাকাছি। শিক্ষকের সংখ্যা ২২ জন, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী একজন করে। 

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি-হারা শিক্ষকদের মধ্যে এই স্কুলের একজন অংকের শিক্ষক রয়েছেন। একইসঙ্গে এই স্কুলের করণিকের পদে থাকা একমাত্র কর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণীর একমাত্র কর্মীরও চাকরি বাতিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহা সমস্যায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি স্কুল খোলা বন্ধ করা, খাতা কলমের কাজ, ঘন্টা বাজানোর মত কাজও করতে হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে কতদিন চালানো যাবে তা বুঝতে পারছেন না স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। 

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত গোলদার জানান আদালতের নির্দেশে অংকের বিষয়ের একজন শিক্ষকের চাকরির চলে যাওয়াটা অন্যান্য অন্যান্য শিক্ষকেরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সামাল দিলেও স্কুলের করণী এবং চতুর্থ শ্রেণীর পদে থাকা একজন করে অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার তাদের দৈনন্দিন কাজও সব শিক্ষকদের করতে হচ্ছে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন