সমকালীন প্রতিবেদন : চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১০.১ ওভারেই ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে কেকেআর। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় ছয় নম্বর থেকে এক লাফে তিন নম্বরে উঠে এসেছে নাইটরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে জানালেন, এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে ‘গুপ্তচর’তুল্য তিন জনের অবদান—তিনি নিজে, মইন আলি এবং ডোয়েন ব্র্যাভো।
তিনজনই একসময় চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগিয়েছে কেকেআর শিবির। রাহানে বলেন, “চেন্নাইয়ের উইকেট আমরা তিনজনই ভালো করে চিনি। তাই পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়েছে। যদিও ঠিক কী পরিকল্পনা করেছি, সেটা এখনই খোলসা করব না, সামনে তো আরও অনেক ম্যাচ রয়েছে।”
চেন্নাইয়ের ইনিংস মাত্র ১০৩ রানে শেষ হওয়ার পেছনে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে স্পিন আক্রমণকে। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী এবং মইন আলি—তিনজনেই তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। আগের ম্যাচে রান খরচ করা নারিন এদিন ফিরেছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিয়ে। বোলিং আক্রমণে বৈভব ও হর্ষিত রানাও রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
রান তাড়ায় ডি’কক ও নারিনের বিধ্বংসী শুরুতেই কার্যত ম্যাচের রাশ ধরে ফেলে কেকেআর। রাহানে বলেন, “শুরুতে শুধুই জয়ের কথা মাথায় ছিল। তবে পাওয়ার প্লে-র পর যখন দেখি দ্রুত ম্যাচ শেষ করা সম্ভব, তখন নেট রানরেটের কথাও ভাবি। সেটাই হয়েছে। দ্রুত জয় পাওয়ায় বড় লাভ হয়েছে পয়েন্ট টেবিলে।” এই মরসুমে কেকেআর এখনও পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে।
রাহানের লক্ষ্য এখন ধারাবাহিক জয়। তাঁর কথায়, “আমরা খুব একটা খারাপ খেলিনি। কয়েকটা ভুল হয়েছে। সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শুধুই জিততে চাই।” পরবর্তী ম্যাচ ১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার, চণ্ডীগড়ে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষ শিবিরে রয়েছেন গত মরসুমে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করা শ্রেয়স আইয়ার। এবার সেই ম্যাচেও কি রাহানের মুখে হাসি থাকবে? অপেক্ষায় থাকবেন নাইট সমর্থকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন