সমকালীন প্রতিবেদন : চার রানের সিগন্যাল দিলেন আম্পায়ার। কিন্তু স্কোরবোর্ডে উঠল ৫ রান। ঠিক এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল কেকেআর বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচ। ভেঙ্কটেশ আইয়ার চার মারলে স্কোরবোর্ডে এক রান বেশিই উঠল। যার নেপথ্যে পঞ্জাবের জাভিয়ের বার্টলেটের আজব কাণ্ড। ঠিক কী হয়েছিল?
ঘটনাটি কেকেআর ইনিংসের অষ্টম ওভারের। পঞ্জাব কিংসের লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন অজিঙ্কা রাহানে। যে আউটের সিদ্ধান্ত বিতর্কিত। রাহানে ডিআরএস নেননি। তবে পরে রিপ্লেতে দেখা যায় যে, বলের ইমপ্যাক্ট উইকেটের বাইরে ছিল। অর্থাৎ, ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বেঁচে যেতেন রাহানে। যা নিয়ে ম্যাচের পরেও হাহুতাশ চলল কেকেআর শিবিরে।
রাহানে আউট হওয়ার পরই ক্রিজে যান দলের সহ অধিনায়ক বেঙ্কটেশ আইয়ার। চাহালের ডেলিভারি ডিপ ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে ঠেলে এক রান নিতে দৌড়ান বেঙ্কটেশ। সেখানে তখন ফিল্ডিং করছিলেন পঞ্জাব কিংসের বিদেশি ক্রিকেটার জেভিয়ার বার্টলেট। তিনি নিশ্চিন্তে বলটি ধরেন।
বেঙ্কটেশও বুঝে যান যে, এক রানেই ক্ষান্ত থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু এরপরই সেই অদ্ভুত কাণ্ড। বার্টলেট বলটি থ্রো করতে যান। কিন্তু সেটি তাঁর হাত ফস্কে পিছন দিক থেকে কাঁধে ধাক্কা খেয়ে বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করে। আম্পায়ার ইশারায় জানিয়ে দেন, ৫ রান পাচ্ছেন আইয়ার তথা কেকেআর।
কিন্তু ৫ রান কেন? মিসফিল্ড হয়ে থাকলে অর্থাৎ ফিল্ডারের দোষে বল বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করলে তো চার রান পাওয়া উচিত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। তবে নিয়ম জানার পর সকলে বুঝতে পারেন, কেন পাঁচ রান দেওয়া হল কেকেআর ও বেঙ্কিকে।
ঘটনা হচ্ছে, বার্টলেট তাঁর ফিল্ডিং সম্পূর্ণ করেছিলেন। অর্থাৎ, মিসফিল্ড নয়। কিন্তু থ্রো করতে গিয়ে বলটি বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। এটিকে তাই চার রান বাই হিসাবে ধরা হয়। অর্থাৎ, দৌড়ে এক রান ও বাই চার রান - সব মিলিয়ে পাঁচ রান পায় কেকেআর। আর এভাবেই আইপিএল-এ ঘটল এমন এক আজব কাণ্ড।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন