সমকালীন প্রতিবেদন : স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে খুন করে নিজেই থানায় পোন করে খুনের ঘটনা জানালো খুনি স্বামী। আর তারপর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলো সে। যদিও প্রতিবেশীরা চলে আসায় এযাত্রায় রক্ষা পেল সে। আপাতত পুলিশের হেফাজতে স্থান পেয়েছে। বাগদা থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বাগদা থানার কোলা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের সঙ্গে বছর সাতেক আগে অর্পিতা দাসের (২৬) বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অনেকদিন ধরেই সোস্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় অর্পিতা। নিজের বিভিন্নরকম ভিডিও বানিয়ে তা সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করার নেশা ছিল তাঁর।
আর এই ভিডিও বানানোর জন্য মাঝেমধ্যেই তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। সকালে বেড়িয়ে রাতে ফিরতেন। সোস্যাল মিডিয়ায় বিচরণের কারণে তাঁর সঙ্গে অনেকের আলাপ পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগও ছিল অর্পিতার। যদিও এই বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল অর্পিতার।
অভিযোগ, প্রায় রাতেই অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসতো অর্পিতার ফোনে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলতেন তিনি। এই ঘটনায় বিরক্ত ছিল প্রসেনজিৎ। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদও হতো। রবিবার সকালে প্রসেনজিৎ দেখে তার স্ত্রী অর্পিতা রান্না ঘরে ভিডিওকলে একজনের সঙ্গে কথা বলছে। এতেই চরম ক্ষিপ্ত হয়ে যায় প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎ এর সন্দেহ হয় যে, তার স্ত্রী পরকীয়ায় মেতেছে। আর সেই সন্দেহে আচমকাই কুড়ুল দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে প্রসেনজিৎ। রক্তে ভেসে যায় গোটা রান্না ঘর। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর এই খুনের ঘটনার কথা নিজেই ফোন করে বাগদা থানায় জানায়।
ফোন সেরে এরপর প্রসেনজিৎ ঘরের ভেতরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা প্রসেনজিৎকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্ত্রীকে খুনে অভিযোগে পুলিশ প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে। বাজেয়াপ্ত করা হয় খুনে ব্যবহৃত কুড়ুলটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন