হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মাত্র ৪ রানে কেকেআরকে হারায় এলএসজি। ব্যাটিং-বোলিং-নেতৃত্ব—সব দিকেই চমক ছিল। ম্যাচ শেষে রইল কিছু নজরকাড়া পরিসংখ্যান, যা আইপিএলের ইতিহাসে জায়গা করে নিল। কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক। লখনউ সুপার জায়ান্টস যতবার কেকেআরের মুখোমুখি হয়েছে, ততবারই ম্যাচ হয়েছে উত্তেজনায় ঠাসা। আইপিএলে সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানে লখনউয়ের যে পাঁচটি জয়, তার মধ্যে তিনটিই কেকেআরের বিরুদ্ধে।
এত মধ্যে ২০২৩ সালে ইডেনের ম্যাচে লখনউ জিতেছিল মাত্র ১ রানে। তারও আগে নাইটদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে এলএসজি জয় পেয়েছিল মাত্র ২ রানে। আর এবার ২০২৫ সালেও ইডেনে দল এই ম্যাচে জয় পেল মাত্র ৪ রানে। অর্থাৎ কলকাতার বিরুদ্ধে লখনউ যত ছোট ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে, তার সবগুলোই একেবারে শেষ বল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া লড়াই হয়েছে।
আবারও রান তাড়া করে হারলেও এই ম্যাচে নতুন এক রেকর্ড গড়ল কেকেআর। কারণ রান তাড়া করা এই রান ছিল নাইটদের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে কেকেআর দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে ২১০ করেছিল, কিন্তু সেই ম্যাচগুলিতেও জয় আসেনি। এছাড়াও এই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে আগুন ঝরানো ব্যাটিং করে রেকর্ড গড়ল কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের পাওয়ার প্লে-তে ওঠে ৯০ রান। এটা কেকেআরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওয়ার প্লে স্কোর। এর আগে ২০১৭ সালে পাওয়ার প্লেতে ১০৫ রান করেছিল নাইটরা। তবে এই নিয়ে আইপিএলে আন্দ্রে রাসেলকে চতুর্থবার আউট করলেন শার্দুল ঠাকুর।
কেকেআরের অন্যতম বড় ম্যাচ-ফিনিশারকে ফেরানোর কাজটা যেন শার্দুলের চেনা দায়িত্ব হয়ে উঠেছে। শেষ কথা, এই ম্যাচটা কেবল স্কোরবোর্ডেই সীমাবদ্ধ নয়—এখানে ছিল নাটক, রেকর্ড, এবং ক্রিকেটের সমস্ত রং। এবং সেই রঙিন ম্যাচের পর, টেবিলের উপর দিকে এগিয়ে চলেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন