সমকালীন প্রতিবেদন : অবশেষে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার। একুশে এপ্রিলের মধ্যে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হলো। শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এই মুহূর্তে রাজ্যে চাকরিহারা ২০১৬ সালের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। এই নির্দেশিকার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। আর এই আন্দোলন করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে লাঠি এবং লাথিও খেতে হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষকদের।
অবশেষে শুক্রবার বিকেলে বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষক, অশিক্ষকদের ১৩ জনের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং এসএসসির চেয়ারম্যান ও অন্যান্য আধিকারিকেরা। বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট না হলেও কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন বলে জানালেন। পাশাপাশি তাঁরা রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
শিক্ষক প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁদের যা যা প্রশ্ন ছিল, সমস্ত প্রশ্ন সরকারি প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন। আর এই প্রসঙ্গেই তাঁরা জানান, সরকারের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ওএমআর শিটের ইমেজ তাদের কাছে নেই। ফলে তারা তা প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে সিবিআই এর কাছে কিছু ইমেজ রয়েছে। আইনি পরামর্শ নিয়ে সেগুলি তারা প্রকাশ করবে।
যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে সরকারি প্রতিনিধিরা আন্দোলনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আইনি পরামর্শ নিয়ে একুশে এপ্রিলের মধ্যে তারা সেই তালিকা প্রকাশ করবেন। সেই তালিকা তৈরীর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের জানানো হয়েছে, স্যালারি পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। আইনি পরামর্শ নিয়ে এই বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। আন্দোলনকারীদের আশা, তাঁরা বেতন সময় মতো পাবেন। সরকারের পক্ষ থেকে চাকরিহারাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন