সমকালীন প্রতিবেদন : মেগা নিলামের আগে একাধিক বড় প্লেয়ারকে দলে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত মরশুমে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেও এবার রিটেনশন পাননি শ্রেয়স আইয়ার। গত মরশুমে সবথেকে বেশি দাম দিয়ে মিচেল স্টার্ককেও রিটেন করেনি কেকেআর। পাশাপাশি, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতীশ রানা এবং ফিল সল্টকেও রাখা হয়নি রিটেনশন তালিকায়। মেগা নিলামে জার্সি বদলেছে এই চার প্রাক্তন নাইট তারকার।
পঞ্জাব কিংসে গিয়ে অধিনায়কত্ব করছেন শ্রেয়স। অন্যদিকে স্টার্ক এবার দিল্লি ক্যাপিট্যালস-এর হয়ে খেলছেন। ইংরেজ ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। রাজস্থান রয়্যালস-এর হয়ে এবার আইপিএল খেলছেন নীতীশ রানা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাইট শিবির থেকে বিতাড়িত হয়েই ব্যাটে বলে জ্বলে উঠছেন তাঁরা প্রত্যেকেই। এই মরশুমে তাঁরা কেমন খেলছেন, চলুন একটু দেখে নেওয়া যাক।
তালিকার শুরুতেই রয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের নাম। এবারের গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছে পঞ্জাব কিংস। এই ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৪২ বলে ৯৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। জার্সি বদল হলেও শ্রেয়স যে এবারেও চূড়ান্ত ফর্মে রয়েছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম ম্যাচেই।
এর পরের নাম মিচেল স্টার্ক। দিল্লি ক্যাপিট্যালস-এর হয়ে হাত ঘুরিয়ে প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর বিরুদ্ধে ৩ উইকেট এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। এখন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।
তালিকায় রয়েছেন ফিল সল্টও। কেকেআর থেকে এবার আরসিবি-তে গিয়েছেন ইংরেজ তারকা সল্ট। গতবার পার্পল জার্সিতে তিনি যে ফর্মে খেলেছেন, এবার লাল জার্সিতেও সেভাবেই খেলছেন তিনি। কেকেআর-এর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩১ বলে ৫৬ রানে এবং সিএসকে-এর বিরুদ্ধে ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন সল্ট।
টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচেও যে এভাবেই আগুন ফর্মে তিনি খেলতে চলেছেন, তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। এরপর নাম আসবে নীতীশ রানার। রাজস্থান রয়্যালস-এর হয়ে প্রথম দু’টি ম্যাচে সেভাবে রান না পেলেও চেন্নাই সুপার কিংস-এর বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ৩৬ বলে ৮১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নাইট শিবিরের একসময়ের অধিনায়ক নীতীশ রানা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন