সমকালীন প্রতিবেদন : বল হাতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ৩টি ম্যাচে বল করে সাকুল্যে ২টি উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারিন। যদিও তুলনায় আঁটোসাটো বোলিং করেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তবে গত মরশুমে কেকেআরের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল সুনীল নারিনের ব্যাটিং। ফিল সল্টের সঙ্গে নারিনের ওপেনিং জুটি সুপারহিট হতেই জমে যায় ছবি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সল্ট এবছর স্কোয়াডে নেই। তাঁর জায়গায় দলে ঢোকা কুইন্টন ডি'কক কেকেআরের হয়ে ওপেন করতে নামছেন এবছর। প্রোটিয়া তারকা একটি ম্যাচে বড় ইনিংস খেললেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। এদিকে সুনীল নারিনকেও ওপেনে রংচটা দেখাচ্ছে। অর্থাৎ, চলতি আইপিএলে কলকাতার ওপেনিং জুটি এখনও পর্যন্ত সুপার ফ্লপ।
এদিকে, ডি'কক চার ম্যাচে মাঠে নেমে সংগ্রহ করেছেন যথাক্রমে ৪, অপরাজিত ৯৭, ১ ও ১ রান। নারিন ৩টি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে সংগ্রহ করেছেন যথাক্রমে ৪৪, ০ ও ৭ রান। এমন পরিস্থিতিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে কেকেআর ওপেনিং জুটি বদলাতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। নারিনকে কি ওপেন থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে?
কেকেআরের সহকারী কোচ ওটিস গিবসন অবশ্য ওপেনিং জুটি বদলের সম্ভাবনায় জল ঢালেন। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে গিবসন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁরা সুনিল নারিনের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। তাই ওপেনিং জুটি বদলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই দলের। তবে বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে পারে কেকেআর।
মঙ্গলবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে বিকালের ম্যাচেও যে কলকাতা বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে পারে, সেটা বোঝা যায় গিবসনের কথায়। কেননা তিনি বৈভব আরোরার প্রশংসা করতে গিয়ে স্পষ্ট জানান যে, বৈভবের জন্যই স্পেনসার জনসনের মতো আন্তর্জাতিক পেসারকে বসিয়ে বাড়তি স্পিনার খেলাতে পারছে কেকেআর।
উল্লেখ্য, ইডেনে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে কেকেআর স্পেনসার জনসনকে বসিয়ে বাড়তি স্পিনার হিসেবে মইন আলিকে মাঠে নামায়। যদিও মইনকে এক ওভারও বল করায়নি নাইট রাইডার্স। কিন্তু আগামী ম্যাচে কি করবে নাইটরা? উত্তর মিলবে ক্রিকেটের নন্দনকাননে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন