সমকালীন প্রতিবেদন : তরুণদের তাজা রক্ত এবং বিদ্যুত গতির রিফ্লেক্স, ক্রিকেট খেলার এটাই প্রাথমিক শর্ত! কথা হচ্ছে ক্রিকেটের টি-২০ সংস্করণ নিয়ে। তবে ৬৪ বছর ১৮৪ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক টি-২০ অভিষেক করে বাইশ গজে তাক লাগিয়ে দিলেন জোয়ানা চাইল্ড! আলবার্গারিয়ায় নরওয়ের বিরুদ্ধে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক করেছেন তিনি।
তবে ইতিহাস বলছে, কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেককারী হিসেবে জোয়ানা থাকবেন দুয়ে। কারণ তার আগে জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টন, ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে ক্রিকেটে অভিষেক করে এক বড় মাইলস্টোন তৈরি করেছিলেন। তার থেকে পিছনেই থাকবেন রোনাল্ডোর দেশের এই মহিলা ক্রিকেটার, যিনি অদম্য জেদ এবং ইচ্ছেশক্তির জেরে আজ উঠে এসেছেন শিরোনামে।
পর্তুগালের জাতীয় মহিলা দল নরওয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। পর্তুগিজরা ২-১ সিরিজ জিতেছে। জোয়ানা তিন ম্যাচেই অংশ নিয়েছিলেন। অভিষেকের ম্যাচে ৮ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরেছিলেন। অবশ্যই ব্যাট হাতে তাঁর স্বপ্নের শুরু ছিল না। বল হাতেও, তাঁর স্পেল ছিল মাত্র এক ওভারের।
তবে এখানে রান বা উইকেট নয়, ছিল নিখাদ অনুপ্রেরণার গর্জন। জোয়ানার কেরিয়ারে আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক রেকর্ড পাওয়া যায়নি, তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুপ্রেরণা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। যুগান্তকারী মাইলফলকের জন্য সবাই তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
সিনিয়র সিটিজেন হয়েও যাঁরা টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক করেছেন, সেই তালিকায় জোয়ানা-স্যালি ছাড়াও থাকবেন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্ড্রিউ ব্রাউনলি, যিনি ৬২ বছর ১৪৫ দিনের মাথায় অভিষেক করেন এবং কেম্যানের ম্যালি মুর ৬২ বছর ২৫ দিনের মাথায় পা রাখেন স্বপ্নের বাইশ গজে।
তাই এক্ষেত্রে জোয়ানা আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে, বয়স নিছকই সংখ্যা মাত্র। জোয়ানার মতো মানুষরাই বারবার দেখিয়ে দেন যে, ইচ্ছা থাকলে কী না হয়, তাঁরা শুধু খেলার নয়, জীবনের প্রতি ক্ষেত্রের জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। যাঁদের কথা শুনলেই হাত আপনা আপনিই কপালে উঠে যায় কুর্নিশ করার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন