Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টেও বন্ধ হতে পারে ভারত-পাক ম্যাচ

 

India-Pak-Match-Stop

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারতের ক্রিকেটমহলও। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি, মহম্মদ সিরাজের মতো তারকা ক্রিকেটাররা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। নীরব থাকেননি শুভমন গিল, পার্থিব প্যাটেল, গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, কে.এল. রাহুল এবং মহম্মদ শামিরাও। 

গম্ভীর জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান খুব শীঘ্রই এর জবাব পাবে। কংগ্রেস নেত্রী শামা মহম্মদের মত, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা, বাণিজ্য, ক্রিকেট ও বিনোদন সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই প্রেক্ষিতে, বিসিসিআই এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লার কাছে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করা উচিত কি না এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। 

এর উত্তরে তিনি পুরো দায়িত্ব ঠেলে দিয়েছেন আইসিসি-র কোর্টে। পহেলগাঁওয়ের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পরে বিসিসিআই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতিমধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ম্যাচে আতসবাজির প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই ম্যাচে চিয়ারলিডারদের উপস্থিতিও ছিল না। 

ম্যাচ শুরুর আগে পহেলগাঁওয়ের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়। দু’দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়াররা কালো বাহুবন্ধনী পরে মাঠে নামেন। দুই দলের ক্যাপ্টেনের গলাতেও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটির পূর্ণ সমর্থন করব। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলি না এবং ভবিষ্যতেও খেলব না। আইসিসি-র টুর্নামেন্টে আমাদের খেলতে বাধ্য হতে হয়, কিন্তু আইসিসিও জানে কী ঘটেছে। তাই তাদেরও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়াও পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, 'এই শোকাবহ সময়ে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে আছে। এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গোটা ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।' 

তিনি আরও বলেন, 'বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে আমরা এই কাপুরুষোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই এবং শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই কঠিন সময়ে আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।' কিন্তু ভারত সরকার এবার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন