Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ, গণধোলাই

 ‌

Fraudulent-activity-pretending-to-be-a-journalist

সমকালীন প্রতিবেদন : সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল তোলাবাজি। অবশেষে পঞ্চায়েত প্রধানের তৎপরতায় ধরা পরল এক ভুয়া সাংবাদিক। চলল গণধোলাই। পরে মুচলেকা লিখিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে গাইঘাটা থানার ধর্মপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। 

ধর্মপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল ঘোষ জানান, ২০১৮ সাল থেকে এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষদের অনেকেই ভ‌য়ে ওই ব্যক্তিকে তার চাহিদা মতো টাকা তুলে দিচ্ছে। 

প্রধান জানান, যে ব্যক্তি এই তোলাবাজির কাজ করছে, তাকে কিছুতেই হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে সেই সুযোগ মিললো। তিনি জানান, তোলাবাজি করতে গিয়েই ওই ব্যক্তি তাঁর পঞ্চায়েতের এক সদস্যর কাছেও টাকা চেয়ে বসে। জানতে পেরে পঞ্চায়েত প্রধান নিজেই সাংবাদিকরুপি ওই ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে মীমাংসা করার টোপ দেন। 

পঞ্চায়েত প্রধানের প্রস্তাব পেয়ে শনিবার এক সঙ্গীকে নিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হয় ওই ব্যক্তি। প্রধানের সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকেই একটি জমিতে মাটি ফেলা প্রসঙ্গ তুলে মোটা টাকা দাবি করে ওই ব্যক্তি। তখনই প্রধান বুঝতে পারেন, এই ব্যক্তি কিছুতেই সাংবাদিক হতে পারে না। 

এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসের গেট বন্ধ করে এই ব্যক্তির দ্বারা ইতিমধ্যেই যারা প্রতারিত হয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে প্রধানের অফিসে ডেকে আনা হয়। তারাই এই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেন। হাতের কাছে তোলাবাজ সাংবাদিককে পেয়ে মারধর শুরু করেন কয়েকজন প্রতারিত। গায়ের জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। 

একটি সংবাদ মাধ্যমের নামে প্রেস কার্ড ছাপিয়ে সেটি ব্যবহার করে এই তোলাবাজির কাজ করতো বলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এই ব্যক্তি তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার থেকে প্রায় ৩৫ জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ভয় দেখিয়ে তুলেছে। ছোটখাটো ঘটনা ধরলে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। পঞ্চায়েত প্রধান এরপর পুলিশকে খবর দেন।


জানা গেছে প্রতারক ওই ব্যক্তির নাম সুশান্ত সেন। বাড়ি অশোকনগর সংহতি পার্ক এলাকায়। 'সংবাদ প্রবাহ'‌ নামে তার একটি ফেসবুক পেজ আছে। আর সেটাকেই হাতিয়ার করে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কাজে ব্যবহারের জন্য সম্প্রতি ওই ব্যক্তি একটি ড্রোনও কিনেছে। তার এই অনৈতিক কাজের জন্য ইতিমধ্যেই তাকে বয়কট করেছেন হাবরা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন