সমকালীন প্রতিবেদন : বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বন্ধ কারখানা। প্রায় ৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ল। আগুন নেভানোর কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কারণে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সেভাবে পৌঁছাতে পারছেন না। হাওড়া ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপড়দহ এলাকার কারখানায় এই আগুন লেগেছে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এলাকার একটি কারখানাতে আগুন লাগে। আগুন লাগার সময় কারখানাটি বন্ধ ছিল। কারণ, সেখানে বর্তমানে কর্মীদের ধর্মঘট চলছে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানার ভেতরে কয়েকজন আগুনে আটকে পড়েন। তাদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসির এলাকা হলেও কারখানাটি বেসরকারি মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। সোমবার দুপুরে কারখানার একাংশ থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই ডোমজুড় থানায় খবর দেন। থানা থেকে বিষয়টি দমকলকে জানানো হয়। দমকল এসে পৌঁচানোর আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ওই রাসায়নিক কারখানায় অনেক দাহ্য বস্তু, রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
দমকলের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন স্থানীয়রা। কাজে নেমেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কারখানার ভেতর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটার শব্দ পাওয়া যায়। আর সেই কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থা দমকল কর্মীদের। মূল রাস্তা থেকে দেড় কিলোমিটার ভেতরে এই কারখানার অবস্থান। আশপাশে নেই জলের উৎস। ফলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণের আনা সম্ভব হয়নি আগুন।
কারখানার ভিতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটায় তার জেরে উড়ে গিয়েছে কারখানার ছাদ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশপাশের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। চার কিলোমিটার দূর থেকেও কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ওই কারখানার পাশেই আরও কয়েকটি ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বিপদ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন