Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ডিটক্স ওয়াটার প্রসেস শরীরে‌র 'টক্সিন' নিংড়ে বের করবে

 ‌ 

Detox-Water-Process

সমকালীন প্রতিবেদন : শরীরে জমা 'টক্সিন' নিংড়ে বের করে আনবে ৫ টা বিশেষ জল। পোশাকি ভাষায় 'ডিটক্স ওয়াটার'! ঝড়বে বাড়তি মেদও। এক আধদিন খেলে কাজ হবে না। ম্যাজিক নয়। শরীরচর্চা, ডায়েটের পাশাপাশি কোন দিন কোন ধরনের ডিটক্স ওয়াটার খাবেন, সেটা জেনে রাখা দরকার। পাঁচ ধরনের ডিটক্স ওয়াটার এই গরমে আপনার শরীরকে রাখবে হাইড্রেটেড। কিভাবে বানাবেন? সেই প্রসেসটাও থাকবে আজকের এই প্রতিবেদনে। 

দেখবেন শরীরকে ‘ডিটক্স’ করার কথা সব পুষ্টিবিদেরাই বলেন। কিন্তু ডিটক্স করা ঠিক কাকে বলে? সেটা বলি আগে। আসলে পরিবেশ, খাবার ইত্যাদি থেকে প্রতিদিনই কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে ঢোকে। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন বা বিষ শরীর থেকে বার করা প্রয়োজন। তা না হলে বিভিন্নরকম সংক্রামক রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে। রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমবে। শরীরকে বিষ থেকে মুক্ত করাই হল ‘ডিটক্স’। সেক্ষেত্রে এমন কিছু পানীয় আমরা বানাতে পারি, যা শরীরকে পুরোপুরি ‘ডিটক্স’ করবে।

ডিটক্স ওয়াটার তো খাবেন, কিন্তু উপকারিতা? প্রথমে সেটা নিয়েই আলোচনা করব। দেখুন, আজ যে ডিটক্স ওয়াটারগুলোর কথা বলবো সেগুলো সারাদিন ধরে নয়, খাবেন সকালে খালি পেটে। যা হজমক্ষমতা বাড়াবে। জমে থাকা দূষিত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এই পানীয় খেলে বিপাকহার ভাল হয়। যা পরোক্ষভাবে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরায়। তাছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। একইসঙ্গে শরীরকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে এই ডিটক্স ওয়াটার। এবার বলব কিভাবে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করবেন?

প্রথম দিন : জিরে দিয়ে এই ডিটক্স ওয়াটার বানানোর জন্য প্যানে ৪ কাপ জল এবং ২ চা চামচ গোটা জিরে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক রেখে ছেঁকে নিন। এবার কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে সামান্য মধুও দিতে পারেন। নিয়ম করে খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস, হজমের সমস্যা কমবে। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

দ্বিতীয় দিন : এদিন খাবেন জোয়ানের জল। অম্বলের মতো সমস্যা নিরাময় করে এই পানীয়। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। কিভাবে বানাবেন? প্যানে ৪ কাপ জল এবং ২ চা চামচ জোয়ান দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তারপর গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন। সকালে না হলে রাতে খাবার খাওয়ার পর এই পানীয় খেতে পারেন।

তৃতীয় দিন : এই দিনটাতে বানিয়ে ফেলুন ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকির রস। হজমশক্তি উন্নত করা থেকে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা, সবই সম্ভব আমলকিতে। কিভাবে বানাতে হবে এবার থাকল সেই পদ্ধতিটা। ব্লেন্ডারে আমলকি মিহি করে বেটে নিন। সঙ্গে অল্প জল, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং বিটনুন মিশিয়ে খান। এতে শরীর থেকে বের হবে দূষিত পদার্থ।

চতুর্থ দিন : এই দিন খাবেন হলুদ দেওয়া দুধ। যা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এক কাপ ঈষদুষ্ণ দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। চাইলে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রদাহ কমলে ওজন ঝরানোও সহজ হয়ে যাবে।

পঞ্চম দিন : পুদিনা ও ধনেপাতার রস খাবেন এদিন। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এটা খুব কাজের। বানানোর পদ্ধতিটা বলি, ব্লেন্ডারে একমুঠো ধনে এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে দিয়ে ভালো করে বেটে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খান। প্রয়োজনে সামান্য মধু, লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৬) ষষ্ঠ দিন : মেথি ভেজানো জল খেয়ে শুরু করুন এই দিনটা।‌ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই মেথি ভেজানো জল খান। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং শরীরের জমা ‘টক্সিন’ দূর করতেও এই পানীয় দারুণ কাজ করে। ২ কাপ জলে ১ চা চামচ মেথি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন। ব্যাস!

৭) সপ্তম দিন : আয়ুর্বেদে এই পানীয় খাওয়ার চল বহু পুরনো। পেট পরিষ্কার রাখতে সাত নম্বর দিনে খান ত্রিফলার জল। শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই কি ডিটক্স ওয়াটার।‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন