সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করে নগদ টাকা, গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে হাতের নাগালে পেয়ে বেঁধে রেখে মারধর করে অবশেষে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগদার মামা ভাগিনা গ্রামের যুবক তাপস অধিকারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসার সম্পর্ক চলছিল বনগাঁর ঘাটবাওড় এলাকার এক গৃহবধুর। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই বধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ওই যুবক।
কিন্তু বিয়ে তো দূরের কথা, উল্টে ওই বধূর কাছ থেকে টাকা, গয়না হাতিয়ে এক প্রকার পালিয়ে যায় ওই যুবক। এই পরিস্থিতিতে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় দুমাস। শনিবার দুপুরে তাপস অধিকারী নামে ওই যুবক ঘাটবাওড় এলাকায় এসে ওই গৃহবধূর খোঁজ শুরু করলে সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। তারাই এরপর ওই যুবককে লোহার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর শুরু করেন। পরে বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, 'তাপস অধিকারী নামে ওই যুবকের সঙ্গে আমার বৌমার যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা আমরা আগে জানতে পারিনি। পরে জানতে পারি যে, ওই যুবক নাকি আমার বৌমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বৌমাকে বাইরে কোথাও নিয়ে গিয়ে সংসার করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।'
ওই যুবকের এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে নিজের সমস্ত সোনার গয়না, নগদ টাকা ওই যুবকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই বধূ। সবকিছু হাতানোর পর ওই যুবক তাঁকে না নিয়েই বাইরে চলে যায়। আর এই খবর পাওয়ার পরেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ। গত দুমাস ধরে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন