Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

পাতিলেবু কিন্তু 'পাতি' নয় - বহুগুনের আধার

 ‌

Benefits-of-Lemongrass

সমকালীন প্রতিবেদন : সাধারণভাবে 'পাতি' শব্দের অর্থ ছোট। যেমন পাতিলেবু, পাতিহাঁস, পাতকুয়া ইত্যাদি। 'পাতি' অর্থ ছোট হলেও ক্ষমতা ও গুনে এই পাতিলেবু কিন্তু খুবই 'বড়ো'। পাতিলেবুর ‌মধ্যে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য অনেক মৌল। ফলে মানব শরীরে এই লেবুর উপকারিতা অনেক। তাই নিয়মিত পাতিলেবুর রস খাওয়া শরীরে মহৌষধের কাজ করে।

পাতিলেবু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও উপকারী ফল। এটি খাট্টা স্বাদের হলেও এর পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণের কারণে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আমাদের দেশে সহজলভ্য এই ফলটি রান্না, পানীয়, রূপচর্চা ও ওষুধে বহুল ব্যবহৃত হয়। বাংলায় একটা প্ৰচলিত কথা আছে - তেঁতুলে ১টা গুন ১৯ টা দোষ, আর লেবুতে ২০ টাই গুন।

১. পুষ্টিগুণ :

পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এতে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে।

২. হজমে সহায়তা করে :

পাতি লেবু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লেবুর রস গরম জলের সাথে খেলে পাচনতন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে :

প্রতিদিন সকালে গরম জলে পাতিলেবুর রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে এটি শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

৪. ত্বকের যত্নে :

পাতিলেবু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে ও ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুখে লেবুর রস লাগালে ত্বক পরিষ্কার ও টানটান থাকে।

৫. ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে :

পাতিলেবু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৬. ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে :

পাতিলেবুর অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ রয়েছে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরের ভিতরের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

পাতি লেবু ছোট হলেও এর উপকারিতা অপরিসীম। বহিরঙ্গে লেবুর প্রচুর গুন। নখে লেবু ঘষলে নখ ভালো ও উজ্জ্বল হয়। লেবুর রস মাথার খুশকি ও উঁকুন নির্মূল করে। তাই নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া ও ঘরে লেবু রাখার অভ্যাস করতে পারলে অনেক উপকার মিলবে।‌‌ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শরীর থাকবে সতেজ ও রোগমুক্ত।







   

 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন