সমকালীন প্রতিবেদন : হার কে জিতনে ওয়ালো কো বাজীগর কেহতে হ্যায়- বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের ডায়লগ। বুধের সন্ধ্যায় সেটাই করে দেখাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কো-ইনসিডেন্টালি বলিউডের সেই বাজীগর হলেন নাইট শিবিরের সবকিছু। ইডেনে হারের পর গুয়াহাটিতে জয়ে ফিরল গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয় পেলেন অজিঙ্কা রাহানেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছিল রাজস্থান। জবাবে কেকেআর ২ উইকেটে ১৫৩। ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ে ফিরল নাইটরা।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। শরীর ভাল না থাকায় বুধবার মাঠে নামেননি নারিন। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে কলকাতার প্রথম একাদশে আসেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন আলি।
তবে তিনি বল হাতে নারিনের অভাব ঢেকে দেন। ভাল বল করলেন বরুণ চক্রবর্তীও। নাইটদের স্পিনের জোড়া ফলার সামনে ছন্দ হারায় রাজস্থানের ইনিংস। ধ্রুব জুরেল করেন ৩৩, যশস্বী জয়সওয়াল করেন ২৯, সঞ্জু স্যামসন করেন ১৩, রিয়ান পরাগ করেন ২৫ রান।
শেষ দিকে জফ্রা আর্চার করেন ১৬ রান। তিনিই রাজস্থানের ইনিংসকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন। স্কোর হয় ১৫৩। এদিকে, কেকেআর-এর বোলারদের মধ্যে সফলতম বরুণ নেন ২ উইকেট, মইন নেন ২ উইকেট। এছাড়াও, ২ উইকেট নেন বৈভব অরোরা এবং হর্ষিত রানা। ১ উইকেট নেন স্পেন্সার জনসন।
জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশা মতো করতে না পারলেও কেকেআর-এর কাছে জয় পেতে সমস্যা হয়নি। সুনীল নারিনের অনুপস্থিতিতে কুইন্টন ডিককের সঙ্গে বুধবার ওপেন করতে নামেন মইন আলি।
কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না। ৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর কলকাতার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক রাহানে। তিনি ১৫ বলে করেন ১৮ রান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ডিকক। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬১ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
অন্যদিকে, রঘুবংশী অপরাজিত থাকলেন ২টি চারের সাহায্যে ১৭ বলে ২২ রান করে। আপাতত পয়েন্ট টেবিলের প্রথম পাঁচে নেই নাইটরা। শুরুতে নীচে থাকলেও পরে পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি করার রেকর্ড কিন্তু রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এবারও কি সেরকম কিছু হবে? উত্তর দেবে সময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন