সমকালীন প্রতিবেদন : ভোটার কার্ডের এপিক নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। শুধু সংযোগই হবে না, আধারের মতো ভোটার কার্ডও প্রযুক্তিগতভাবে কাজ করবে। আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা শুরু। কিন্তু আচমকাই কেন হঠাৎ এতো বড় পদক্ষেপ? তৃণমূলের ভুতুড়ে ভোটার তত্ত্বের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের কি কোনো যোগ আছে?
ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগের বিষয়টা অলরেডি অনেক দূর এগিয়েছে। শীঘ্রই এই কাজের জন্য আধার কার্ডের প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কমিশনের আধিকারিকেরা বৈঠক করবেন। এমনকি ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লির নির্বাচন সদনে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, এক ব্যক্তি এক আধারের মতো সচিত্র ভোটারকার্ডের এপিক নম্বরও একটা থাকবে, এমন স্টেপ নেওয়া হবে। অর্থাৎ, এক ভোটার এক এপিক করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। আর ঠিক সেই দাবিই তো তুলেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত তৃণমূলের অভিযোগ, আগে ভোটার কার্ডে বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রের কথা উল্লেখ থাকত। কিন্তু নতুন প্রক্রিয়ায় তা থাকছে না। এতেই ‘চক্রান্ত’ রয়েছে বলে মনে করছে বাংলার শাসকদল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই অভিযোগ নিয়ে সরব। এই অভিযোগ ওঠার পরে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, একাধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকা নতুন কথা নয়। কিন্তু একই রাজ্যে এক এপিক নম্বর একজনেরই থাকে। ফলে গোলমাল হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। যদিও তৃণমূল এই যুক্তি মানতে নারাজ।
আর ঠিক সেই কারণেই এবার কমিশন জানালো, এপিক নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। মনে করিয়ে দিই, ২০২৩ সালে আধারের সঙ্গে ভোটার সংযুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই সময় শীর্ষ আদালতে কমিশন জানায়, আধারের সঙ্গে ভোটার সংযোগ বাধ্যতামূলক নয়।
কমিশন সূত্রে খবর, এখন দেশে ভোটার সংখ্যা ১০০ কোটির কাছাকাছি। ২০২৩ সালে সারা দেশ জুড়ে ৬৬ কোটি ২৩ লক্ষ আধার কার্ডের নম্বর ভোটার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এবার সব ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার জোড়ার কাজ করতে চায় কমিশন। তবে শুধু আধারের সঙ্গে ভোটার জুড়বে তাই নয়, এক ব্যক্তি এক আধারের মতো সচিত্র ভোটারকার্ডের এপিক নম্বরও একটা থাকবে, এমন পদক্ষেপও করা হবে বলে সূত্রের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন