সমকালীন প্রতিবেদন : একেই বোধহয় বলে 'সময়'। একসময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেও প্রশ্ন উঠেছিল রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে। একের পর এক হার, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হার, ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ভারতের হার টোটালি চাপে ফেলে দিয়েছিল রোহিতকে।
সিচুয়েশন এমন তৈরি হয়েছিল, সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেকে বসিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত। যা বুঝিয়ে দিয়েছিল কতটা চাপে রয়েছে দল। দলের চাপ মানে শুধু টিম মেম্বারদের নয়, চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীরও। ২০২৪ এ রাহুল দ্রাবিড় দায়িত্ব ছাড়ার পর যখন গম্ভীর দায়িত্ব নিলেন, শুরুতেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে একদিনের সিরিজে হার।
এর পর একের পর এক টেস্ট সিরিজে হার গৌতমকে বিরাট চাপে ফেলেছিল। চাপ বেড়েছিল সাজঘরের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায়। বোর্ড ১০ দফা নিয়ম জারি করেছিল দলের উপর। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন রোহিত, কোহলিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আসার সময়েও মানতে হয়েছে বহু নিয়ম।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে না পারলে গম্ভীরের চাকরি যেতে পারে, এমন হাওয়াও উঠে গিয়েছিল। তবে ট্রফি জয় আপাতত সেই সব কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। কারণ, ট্রফি সব খুঁত ঢেকে দেয়। আর ঠিক সেই কারণেই হয়তো ট্রফি জেতার পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে অবসর নিয়ে স্পষ্টভাবে রোহিত জানিয়ে দিতে পারলেন, তিনি একদিনের ক্রিকেট খেলবেন।
এমনকি ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না। বার বার তাঁর মুখে উঠে এল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার কথা। জানালেন, এভাবেই খেলা চালিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তাঁর দুই সতীর্থ কেএল রাহুল আর বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রোহিত শর্মা। পিচ নিয়ে পড়ালেন সাফল্যের পাঠও।
সত্যিই, একটা ট্রফি সব সমীকরণ ঘুরিয়ে দিল। ট্রফি জিতে যেমন নিজের কনফিডেন্স বোঝাতে উইকেটটা মাঠে গেঁথে দিলেন রোহিত শর্মা, তেমনই স্বস্তি আর তৃপ্তির হাসি ছিল গম্ভীরের মুখেও। আপাতত সব ভুলে এখন অন্য উৎসবে মেতে ওঠার পালা যে। আর কয়েকদিন পর আইপিএল। ক্রিকেট নয়, এই গ্র্যান্ড উৎসবে মেতে উঠবে গোটা ভারত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন