সমকালীন প্রতিবেদন : রং খেলে বন্ধুদের সঙ্গে জলাশয়ে স্নান করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানার গোবরাপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছেন, বছর ২৬ বয়সের মৃত ওই যুবকের নাম অরিজিৎ সাধু।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দোলের দিন বন্ধুদের সঙ্গে রং খেলতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অরিজিৎ। দুপুর পার করে বিকেল হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকেরা। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ফোন মারফৎ হঠাৎই আসে সেই দুঃসংবাদ।
এলাকার পরিচিত এক ব্যক্তি অরিজিতের এক জেঠুকে ফোন করে জানান যে, এলাকার একটি জলাশয়ে অরিজিৎ কে ভাসতে দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত সে আর বেচে নেই। এই খবর আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার দুজন অরিজিৎকে জলাশয় থেকে তুলে মোটর বাইকে করে প্রথমে বাড়ি এবং পরে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অরিজিতের এক জেঠিমা জানান, এদিন এলাকার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রং খেলতে বের হয় অরিজিৎ। রং খেলা শেষ করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাওড়ে স্নান করতে যায় তারা। জলাশয়ে নামার আগে পকেট থেকে মোবাইল, চশমা, ঘড়ি পাড়ে রেখে যায়। জলাশয়ে এক মানুষেরও কম জল। এই অবস্থায় অরিজিৎ কিভাবে জলে ডুবে মরতে পারে? প্রশ্ন পরিবারের সদস্যদের।
পরিবারের আরও সন্দেহ, যেসব বন্ধুদের সঙ্গে অরিজিৎ রং খেলতে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গেই নিশ্চয়ই বাওড়ে স্নান করতে গিয়েছিল। তারপর এতো বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও তাদের কেউ কেন অরিজিতের বাড়িতে খবর দিল না? তাহলে কি অরিজিতের এই অকাল মৃত্যুর পেছনে তাদের হাত আছে? জানতে চান পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, বনগাঁ কলেজ থেকে স্নাতক পর্বের পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অরিজিৎ। বাবা–মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। আর তাঁরই এমন অকাল মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ অরিজিতের মৃত্যুর আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন