সমকালীন প্রতিবেদন : বয়স ৪৩। বহুদিন হল জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। আইপিএল ছাড়া সেভাবে তাঁর দেখা মেলেনা। ক্রিকেট এবং প্রচার থেকে মোটামুটি নিজেকে সরিয়েই রেখেছেন মাহি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বয়সে নিজের ক্ষিপ্রতা হারাননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে আবারও সেটার প্রমাণ মিলল।
মুম্বইয়ের ইনিংসের ১১তম ওভারে নুর আহমেদের ডেলিভারিতে সূর্যকুমার যাদব এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করেন। ধোনি যে মুহূর্তে বল হাতে পান, তার মাত্র ০.১২ সেকেন্ডের মধ্যেই স্টাম্প ভেঙে দেন। সূর্যের ব্যাট তখনও ঘূর্ণন শেষ করেনি, ক্রিজে ফেরার সময়ই পাননি তিনি। সেই একইরকমের স্পিডে আবারও স্টাম্পিং করলেন ধোনি।
কিন্তু ধোনির এই অস্বাভাবিক দ্রুততার রহস্য কী? এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞান। আসলে সাধারণত উইকেটরক্ষকেরা বল ধরার সময় হাত শরীরের দিকে টেনে আনেন, যাতে বলের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু ধোনির কৌশল একেবারে আলাদা। ভরত সুন্দর্শনের বই অনুসারে, ধোনি বল ধরার সময় হাত সামনের দিকে ঠেলে দেন, বলের গতির দিকেই হাত চালান।
তবে তাঁর হাত কখনোই শক্ত হয়ে যায় না, বরং হালকা থাকে। ফলে বল সহজেই হাতে আটকে যায় এবং দ্রুত স্টাম্পিং সম্ভব হয়। আর এটাই ধোনির লাইটেনিং ফাস্ট স্টাম্পিংয়ের বৈজ্ঞানিক যুক্তি। ধোনির মতে, এই স্টাম্পিংটা পরিকল্পিত ছিল না, বরং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার ফল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'ওটা হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছে। দেখলে মনে হবে, ট্রাকের পিছন থেকে হঠাৎ করে একটা চালের বস্তা পড়ে গিয়েছে।'
ধোনি বলেন, 'আমি সব সময় বল দু’হাতে ধরতে পছন্দ করি, তাই এমন স্টাম্পিং করতে ভালো লাগে। কিপার হিসেবে আমি বরাবর শান্ত থাকি, কারণ সেটাই আমার খেলায় সাহায্য করে।' ধোনির কিপিং দক্ষতা ক্রিকেটবিশ্বে বরাবরই আলোচনার বিষয়। ৪৩ বছর বয়সেও তাঁর বিদ্যুৎগতির স্টাম্পিং প্রমাণ করে, অভিজ্ঞতা আর টেকনিকের মিশেলে তিনি এখনও প্রতিপক্ষের জন্য মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন