সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল ২০২৫ এ প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। আজিঙ্কা রাহানের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকলেও দল জিতে যাওয়ায় আপাতত সেসব নিয়ে কোনও কথা উঠছে না। যদিও পরের ম্যাচে কিন্তু নাইট রাইডার্সের প্রতিপক্ষের নাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অসমের বারসাপারা স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্স টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান রয়্যালসকে।
এই ম্যাচে নারিন খেলতে না পারলেও তাঁর শূন্যতা ঢেকে দিলেন নাইট বোলাররাই। প্রথম থেকেই বৈভব অরোরা ভালো বোলিং করলেন। এরপর জোড়া স্পিনার দিয়েই টার্নিং ট্র্যাকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেন রাহানে, আর সেটাই ক্লিক করে যায়। ইডেন গার্ডেন্সে হারের পর আজিঙ্কা রাহানেকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এমন উইকেট কলকাতায় দরকার, যেখানে হোম টিম একটু সাফল্য পায়।
যদিও সিএবির পিচ কিউরেটর তাঁর সেই ইচ্ছা একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। তবে রাহানে কিন্তু গুয়াহাটিতে রাজস্থানের হোম ম্যাচে তাঁদেরকে বিঁধলেন স্পিন অস্ত্রেই। বরুণ এবং মইন আলি দুটি করে উইকেট নিলেন, তাতেই দিশেহারা হয়ে গেল রয়্যালস শিবির। বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানারাও ২টি করে উইকেট নিলেন।
রাহানের অবশ্য ব্যাটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, তিনি প্রথম ম্যাচে পেসারদের বিরুদ্ধে ভালো খেলে শেষ পর্যন্ত স্পিনার ক্রুণালের বলে আউট হয়েছিলেন। এদিনও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ১৮ রান করে তিনি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হলেন। আর সব থেকে বড় কথা তিনি নিজে ওপেন করতে না এসে পাঠালেন মইন আলিকে, যিনি সচরাচর এমন বড় প্রতিযোগিতায় এই পজিশনে খেলে অভ্যস্ত নন।
ম্যাচ শেষে রাহানে বললেন, 'আমরা প্রথম ছয় ওভারে ভালো বোলিং করেছি, মিডল ওভারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যেভাবে স্পিনাররা গোটা ম্যাচ কন্ট্রোল করেছে। মইন সুযোগ পেতেই তা কাজে লাগিয়েছে। আমরা এই ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীনভাবে খেলতে দিয়ে থাকি, নিজেদের মতো খেলার স্বাধীনতা দিই।'
কেকেআর ক্যাপ্টেন আরও বলেন, 'আমাদের বোলিংকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সব সময় উইকেটের খোঁজে থাকে। মইন এর আগে ওপেনিং করেছে, এই ম্যাচে হয়ত রান পায়নি। তবে ওর বোলিংয়ে আমি খুবই খুশি। এভাবেই প্রত্যেক ম্যাচ থেকেই কিছু না কিছু শিখতে চাইব।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন