সমকালীন প্রতিবেদন : ৫০ শতাংশ সার্ভে করার পর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় নাকি ১০ হাজারের বেশি ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মিলেছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। যদিও তাঁর এই দাবিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী তৃণমূল সুপ্রিমো নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ জারি করে বলেন, রাজ্যে ভুতুড়ে ভোটার সনাক্ত করে তালিকা জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশের পরেই ভুতুড়ে ভোটার খুঁজতে তোড়জোড় শুরু করেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
গোটা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলাতেও ভুতুড়ে ভোটারের সন্ধানে বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ শুরু হয়। তার আগে এই তালিকা তৈরি করতে তৃণমূল সাংগঠনিক স্তরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে সপ্তাহ ঘুরতেই সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
মঙ্গলবার জেলা সভাপতি দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ সার্ভে করা হয়েছে। আর তার ২৫ শতাংশ রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছেছে। তাতেই ১২ হাজারের বেশি ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মিলেছে। বিধানসভা অনুযায়ী তার আলাদা আলাদা তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বাগদা বিধানসভা এলাকাতেই এই সংখ্যা সবথেকে বেশি।
জেলা সভাপতির দাবি অনুযায়ী, এরমধ্যে কেউ বাংলাদেশে থাকে, কেউ অন্য বিধানসভায় থাকে, আবার কেউ এই রাজ্যের বাইরেও থাকে। এমনকি ২১ জন এমন ব্যক্তির নাম মিলেছে, যাদের কোনও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় নি। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই তালিকা এগুলি এসডিও, বিডিওতে জমা করা হয়েছে।
জেলা সভাপতি বলেন, 'গোটা সার্ভের কাজ শেষ হলে এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম, বিজেপি ভোটার লিস্টে এই অবৈধ নামগুলি ঢুকিয়ে রেখেছে। আর সেই ভোটে শেষ বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। আমরা স্বচ্ছতার সাথে তালিকা তৈরি করছি। ভুতুড়ে ভোটারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন রাখছি।'
এব্যাপারে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, 'রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আর ভুয়ো ভোটারদের নাম তারাই ঢুকিয়েছে। ভুয়ো ভোটারের নামে যাদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তাদের মধ্যে মতুয়া, আদিবাসী, ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। আর নিজেদের ভোটব্যাঙ্কগুলো ঠিক রাখছে। বেছে বেছে বিজেপির ভোটগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে। সঠিক নাম বাদ গেলে আন্দোলন শুরু হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন