Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

প্রথম ম্যাচেই নাইট শিবিরকে নুনের ছিটে দিলেন সল্ট

 

Fill-Salt

সমকালীন প্রতিবেদন : গত মরশুমে যে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, সেই দলই তাঁকে এবার আর নেয়নি। আর, সেই নাইট শিবিরের বিরুদ্ধে কেকেআরের ঘরের মাঠে যথারীতি জ্বলে উঠলেন ইংরেজ ওপেনার ফিল সল্ট। এমনিতেই ইডেন তাঁর চেনা মাঠ। আর, সেখানেই সাত উইকেটে নাইটদের হারিয়ে কিং খানের বাহিনীকে কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে গেলেন ওপেনার সল্ট। 

তাঁর মতই কেকেআরের আর এক প্রাক্তনী সূয়শ শর্মাও কার্যত শনিবারের ম্যাচে নাইটদের ডুবিয়ে দিতে বড় ভূমিকা নিলেন। তাহলে কি প্রাক্তনীরাই হারালো নাইটদের? এই প্রশ্নটা এখন ভীষণ প্রাসঙ্গিক। আসলে এই ম্যাচে জয় আর কেকেআর-এর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে সল্ট আর কোহলির ঝোড়ো জুটি। 

কেকেআরের টার্গেট তাড়া করে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এই ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে। যাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্ট। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার যৌথভাবে কেকেআরের বোলারদের কোণঠাসা করে দেন। মাত্র ৫১ বলেই দু'জনে ৯৫ রানের জুটি তৈরি করে ফেলেন। তার মধ্যে ইংলিশ ব্যাটার সল্ট মাত্র ২৫ বলেই করে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। 

এর পরে সল্ট ৫৬ রানের মাথায় বরুণ চক্রবর্তীর বলে স্পেন্সার জনসনের হাতে ক্যাচ দেন। তিনি তাঁর ৩১ বলের ইনিংসে ৯টি চার এবং দু'টি ছক্কা মারেন। এর ঠিক কিছু পরেই, সুনীল নারিনের বলে আরসিবির দেবদত্ত পারিক্কাল ১০ রান করে আউট হন। এতে কিছুটা চাপে পড়ে যায় কোহলির দল। 

তবে, পারিক্কাল আউট হলেও কোহলি ইনিংসের একদিক ধরে রাখেন। তিনিও হাফ সেঞ্চুরি করেন। তা-ও আবার মাত্র ৩০ বলে। আরসিবির কিংবদন্তি ব্যাটার কোহলি আর অধিনায়ক রজত পাতিদারের সঙ্গতে তৃতীয় উইকেটে ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে ইডেন। দু'জনের তালমিলে ওঠে ৪৪ রান। অধিনায়ক পাতিদার ১৬ বলে করেন ৩৪ রান। তিনি আউট হন বৈভব অরোরার বলে। 

এই সময়ও ইনিংসের একটা দিক ধরে রাখেন কোহলি। তিনি এবং লিয়াম লিভিংস্টোন মিলে শেষ পর্যন্ত কেকেআরকে জয় এনে দেন। শেষ অবধি ৩৬ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিতই থেকে যান আরসিবির কিংবদন্তি ব্যাটার। তাঁর ইনিংসে কোহলি মোট চারটি চার মারেন। সঙ্গে মারেন তিনটি ছক্কাও। লিভিংস্টোন আবার অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। শেষমেষ জয়ের হাসিটা হাসে ব্যাঙ্গালুরুই। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন