সমকালীন প্রতিবেদন : দোলের খাওয়া দাওয়ায় খুব সাবধান! অঢেল মানে মন খুলে খাবেন, নাকি মাপজোক করে? জাস্ট পাঁচটা পয়েন্ট, দোলের দিন কয়েকটা ভুল এড়িয়ে চললেই শরীর থাকবে একেবারে ফিট অ্যান্ড ফাইন। আর হোলি স্পেশাল ঠান্ডাই মিষ্টি দেদার খাওয়া-দাওয়ার পর কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড সুগার বাড়লো কিনা? ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর। সব খেলেও কন্ট্রোলে থাকবে সুগার লেভেল। তার জন্য কিভাবে প্ল্যানিং করবেন এবারের দোলে? বিস্তারিত থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
প্রথমেই যে পয়েন্টে ফোকাস করব, তা হল ডায়াবেটিক রোগীরা কিভাবে কি মেনটেইন করবেন দোলের দিন, সেদিকে। সারাদিন ভাল ভাল খাওয়া দাওয়া। সঙ্গে মিষ্টি মুখ! ঠিক এই কারণেই নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না ডায়াবেটিক রোগীরা। এক দুটো মিষ্টি খেয়েও ফেলেন, আবার সুগার লেভেল বেড়ে গেল কিনা সেই টেনশনও হতে থাকে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, দোলের দিন সব খাবার খেয়েও আপনার ব্লাড সুগার একদম নর্ম্যাল থাকবে। কীভাবে বলুন তো? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন? হোলির সময় গুজিয়া, মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় আপনি সবকিছুই খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। না তাতে বাড়বে না সুগার। তবে মাথায় রাখবেন খাওয়ার কোয়ান্টিটি বা পরিমাণটা।
একই সঙ্গে এটাও জেনে রাখুন ওই একটা দিন অল্প সল্প মিষ্টি, ঠান্ডাই খাওয়ার জন্য পরের দিন থেকেই কিন্তু শুরু করতে হবে ডায়েট, হাঁটতে যাওয়া আর ব্যায়াম। মানে থাকতে হবে একদম কঠোর নিয়মের মধ্যে। আরেকটা বিষয়, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে অবশ্যই ডায়াবেটিক রোগীরা হোলির একদিন আগে এবং পরে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।
এবারে বলবো জমিয়ে রং খেলার আনন্দ মাটি হবে না, যদি স্বাস্থ্যের যত্ন নেন এভাবে।
১) হোলির উত্তেজনায় যদি একগাদা গুজিয়া, মালপোয়া খেয়েও নেন, তবে এতে নিজেকে দোষী মনে না করে আপনার ওয়ার্কআউটের দিকে নজর দিন। আপনি সেদিন যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, ওয়ার্কআউটের টাইমটেবিল যেন মিস না হয়। উৎসবের ব্যস্ততার মধ্যেও ওয়ার্কআউটের জন্য ২০ মিনিট সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।
২) উৎসবের মরশুমে খাবারের বন্দোবস্ত না থাকলে, আনন্দটাই মাটি। কিন্তু এই উৎসবে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে খাবার দাবার খেতে হবে এটা মাথায় রাখুন। বাইরে থেকে মিষ্টি বা স্ন্যাকস না কিনে ঘরে বসে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করার চেষ্টা করুন। সেটা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য বেটার হবে।
৩) আর ভুলেও দোলের সময় ভারী খাবার খাবেন না। প্রচুর পরিমাণ তেল মশলাও এড়িয়ে চলুন। কোনোভাবে যদি খুব ভারী খাবার খেয়েও থাকেন, তবে তার মাশুল গুনতে ভেজ স্যুপ, ফ্রুট স্যালাড বা শুধু পাতলা ডাল খেতে হবে। তাছাড়া, দই খেয়েও আপনার হজমশক্তি ঠিক রাখতে পারেন।
৪) আরেকটা দিকে খেয়াল রাখবেন সেটা হল, দোল উৎসবের সময়। এই সময়টায় আবহাওয়া এমন থাকে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক এফেক্ট ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে এই উৎসবের মরশুমে আপনার নিজেকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যতটা সম্ভব জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া ডাবের জলও আপনার জন্য উপকারী হবে। খেতে পারেন টাটকা অন্যান্য ফলের রসও।
৫) লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট। উৎসবের আনন্দে দোলের দিন অনেকেই রঙিন হাতেই খাবার খান। এটা কিন্তু ভুলেও করবেন না। এই কারণে খাবারে বিষক্রিয়ার রিস্ক অনেক সময় প্রচুর বেড়ে যায়। তাই, দোলের দিনে কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
দোল উৎসবে মেতে উঠুন। রঙীন হোক জীবন। তবে, স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়াটাও কিন্তু জরুরী। সেটা ভুলবেন না প্লিজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন