সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে কর্মসংস্থানের দাবিতে বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের বিশেষ কর্মসূচিকে ঘিরে শুক্রবার দুপুরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো শিলিগুড়ি শহরে। ডিওয়াইএফআইয়ের উত্তরকন্যা অভিযান রোধ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করা হয়।
রাজ্যের বেকার যুবক, যুবতীদের চাকরির দাবিতে এবং চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বেকারদের সরকারি ভাতা প্রদান সহ একাধিক দাবিতে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল ডিওয়াইএফআই। আর এই অভিযানের আগাম খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান রোড, নৌকাঘাট, তিনবাত্তি মোড়, উত্তরকন্যা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশকর্মী।
যদিও একাধিক দলে ভাগ হয়ে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা উত্তরকন্যার দিকে এগোতে থাকেন। এইভাবেই পুলিশের ব্যারিকেডকে তোয়াক্কা না করে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা ইট ছুড়তে শুরু করেন। পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে পুলিশও জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, চালানো হয় লাঠিও। এরপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহার নেয়।
এই ঘটনার জেরে দু'পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিক্ষোভের জেরে এদিন শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড, নৌকাঘাট, তিনবাত্তি মোড়, উত্তরকন্যা সহ একাধিক এলাকা বেশ কিছুক্ষণের জন্য কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এরপর লাঠি চালাতে শুরু করে। ফলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এরপর পুলিশ মীনাক্ষী সহ আন্দোলনকারীদের একাধিক নেতা, নেত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, 'শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর তৃণমূলের পুলিশ লাঠি চালায়। আসলে এভাবেই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছে এরা।' পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনকারীরাই প্রথমে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। তারই জেরে পুলিশ প্রতিরোধ করেছে মাত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন