সমকালীন প্রতিবেদন : শুরু হয়েছে আইপিএল। আর এই মরশুমের তৃতীয় দিনেই সিজনের প্রথম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাইশ গজে লখনৌয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে দিল্লির ভাগ্য বদল প্রায় একার হাতেই ঘটালেন আশুতোষ শর্মা। ৩১ বলে ৬৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস ২৬ বছরের এই ব্যাটারের নামের সঙ্গে জুড়ে দিল ফিনিশার তকমা।
কিন্তু কে এই আশুতোষ? কেই বা তাঁর গুরু? কীভাবেই বা এত ভয়ানক ব্যাটসম্যান হয়ে উঠলেন তিনি? চলুন এই ভিডিওতে আশুতোষ শর্মাকে চিনে নেওয়া যাক। আসলে আশুতোষের গুরু হলেন শিখর ধাওয়ান। তাই এদিন ম্যাচের পর আশুতোষকে ভিডিও কল করেন তাঁর ‘মেন্টর’। আর প্রাক্তন ভারতীয় তারকাকেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করেন আশুতোষ।
নিজের ইনিংস নিয়ে তিনি বলছেন, “আমি শান্ত থাকতে চেয়েছিলাম। নিজের উপর ভরসা ছিল। যা অনুশীলন করেছি, সেরকমই খেলেছি।” ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আশুতোষ শর্মার পারফর্মমেন্সের ধার আগেও দেখেছে বাইশ গজ। পঞ্জাবের জার্সিতে শশাঙ্ক সিংয়ের সঙ্গে পঞ্জাব কিংসকে পৌঁছে দিয়েছিলেন জয়ের সরণীতে।
কিন্তু চলতি মরশুমে পঞ্জাব তাঁকে সাইন না করায় স্ট্র্যাটেজিক মুভে আশুতোষকে নিলামে তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। আশুতোষ শর্মার জন্ম ১৯৯৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের রতলামে। পড়াশোনা রতলামে করলেও পরে ইন্দোরে চলে আসেন এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কাছে নেন ক্রিকেটের তালিম।
তবে হাতেখড়ি মেন্টর ভূপেন চৌহানের কাছে। ২০২৩ সালে রেলওয়েজে খেলার সুযোগ পান আশুতোষ। এর পর ২০২৪-এ আইপিএল-এ সুযোগ বদলে দেয় আশুতোষের জীবন। প্রথমবার নিলামে তাঁর দাম ছিল মাত্র ২০ লাখ টাকা। ১১ ম্যাচে পঞ্জাবের হয়ে আশুতোষের স্কোর ছিল ১৮৯ রান।
এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একটি রেকর্ডও রয়েছে তাঁর নামে। মাত্র ১১ বলে টি-টোয়েন্টিতে হাফসেঞ্চুরি করার নজির গড়েছেন তিনি। আইপিএল-এর অন্যতম আবিষ্কার হতে চলেছেন আশুতোষ শর্মা, বলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সোমবার রাতের পর ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে ডাকছে আশুতোষ ‘ইমপ্যাক্ট’ শর্মা নামে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন