সমকালীন প্রতিবেদন : কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে উত্থান হয়ে জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন, এমন উদাহরণ বেশ কিছু রয়েছে। রিঙ্কু সিং তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কিংবা হর্ষিত রানা বা বরুণ চক্রবর্তীকেও এই তালিকায় ফেলা যায়। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলেই কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খুলেছিল তাঁদের জন্য।
রিঙ্কু-হর্ষিত নিয়মিত হয়ে উঠেছেন। আর বরুণ! তিন বছরের বিরতিতে কামব্যাক করেছিলেন। তারপর থেকে আরও ধার বেড়েছে। এই তালিকায় কি নাম লেখাতে পারবেন অংক্রিশ রঘুবংশী? এই জল্পনা চলছে ব্যাপকভাবে। বছর তিনেক আগের কথা। ২০২২ সালে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন।
শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে রান ছিল তারই। এরপর ভারত এ দলের হয়েও সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর পরিচিতি গড়ে ওঠেনি। গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে নেয়। বলা ভালো, অভিষেক নায়ার তাঁকে সুযোগ দেন। এটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমানে জাতীয় দলে গম্ভীরের সহকারী অভিষেক নায়ার। মুম্বইয়ের এই ক্রিকেটারের কাছেই নিজেকে ঘষে মেজে তুলেছেন রঘুবংশী। দিল্লির ছেলে হলেও ক্রিকেটের টানে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। আর গত মরসুমে নাইট রাইডার্সে সুযোগটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে এখনও পর্যন্ত।
অঙ্গক্রিশ নিয়মিত যে সুযোগ পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। তবে যেটুকু পেয়েছেন, ছাপ ফেলেছেন। এই মরসুমেও তাই। গত মরসুমে ১০ ম্যাচে ৭ ইনিংস সুযোগ পেয়েছিলেন। করেছিলেন ১৬৩ রান। এর মধ্যে একটি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ১৫৫-র বেশি। একজন তরুণ ব্যাটারের থেকে যেটুকু প্রত্যাশা রেখেছে কেকেআর, এখনও পর্যন্ত তা পূরণ করেছেন রঘুবংশী।
এই মরসুমে দুই ম্যাচেই তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সীমিত সুযোগে করেছেন ৫২ রান। ক্রমশ যেন কেকেআরের ‘ইমপ্যাক্ট’ প্লেয়ার হয়ে উঠেছেন। এখানে ইমপ্যাক্ট বলতে কিন্তু পরিবর্ত নয়, বরং ছাপ ফেলা ক্রিকেটার। এখন তিনি ছাপ ফেলছেন নাইটদের স্কোরবোর্ডে। হয়তো আগামীতে জাতীয় দলের হয়েও এরকমই খেলবেন এই তরুণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন