সমকালীন প্রতিবেদন : জেলবন্দি অবস্থায় ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছিল বনগাঁ বিডিও অফিসের কর্মীর কাছ থেকে। ঘটনার পরই আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ জানানো হয় আদালতে। সেখান থেকে সাইবার ক্রাইম থানা। এবার সেই থানাই তদন্ত করে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল।
সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন বনগাঁ বিডিও অফিসের কর্মী সঞ্জয় বসু। পরে তাকে বনগাঁ থেকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বন্দি থাকা অবস্থায় জেলের ভেতরেই সঞ্জয় বসুকে হুমকি দিয়ে তার পরিজনদের কাছে ফোন করে একটি ইউপিআই নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়।
টাকার ব্যবস্থা না করলে তার বড় বিপদ হবে। টাকা পাঠানোর জন্য একটি ইউপিআই নম্বরও দেওয়া হয়। এমন ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটু ঘাবড়ে যান সঞ্জয় বসু। পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে অনুরোধ করাও শুরু করেন। বেশ কিছু টাকা তার পরিজনেরা পাঠানোরও ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি নিজের আইনজীবীকেও বিষয়টি জানান।
এরপর তার আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত এই বিষয়টি আদালতকে জানান। একইসঙ্গে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তারা প্রথমেই যে ইউপিআই নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য ফোন এসেছিল, সেই নম্বর ধরে তদন্ত শুরু করে।
সেখানে দেখা যায় যে, ওই ইউপিআই নম্বরটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইহাটির আশিনগরের বাসিন্দা নীরেন্দ্রনাথ শেলী নামে এক ব্যক্তির। এরপরই শনিবার রাতে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস সেখানে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
সাইবার প্রতারণার এই তদন্তে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই প্রতারণার চক্র কতদূর বিস্তৃত, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই প্রতারণা চক্রের মূল কৌশল হল ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা। সন্দেহ করা হচ্ছে, এটি কোনও বড় চক্রের অংশ হতে পারে, যারা জেলবন্দিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার কাজ চালায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন