সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএলের আগে বাংলা-সহ দেশের ১৪টি ক্রিকেট সংস্থাকে একটি নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার জেরে সমস্যায় পড়তে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আসলে বোর্ড চাইছে, আইপিএলের আগে প্রতিটি মাঠের পিচ ও আউটফিল্ড ভাল অবস্থায় থাকুক। সেই কারণে তারা নির্দেশ দিয়েছে, আইপিএলের আগে আর কোনও কেন্দ্রে স্থানীয় প্রতিযোগিতা হবে না।
লেজেন্ডস লিগ, সেলিব্রিটি ক্রিকেট এমনকি, আইপিএলের দলের অনুশীলনের জন্যও মূল পিচ ও আউটফিল্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। একমাত্র রঞ্জির নক আউটের খেলা হতে পারে। উল্লেখ্য, আইপিএলের জন্য ১৪টি মাঠ ব্যবহার করা হয়। সেগুলি হল– মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, লখনউ, রাজস্থান, মোহালি, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, অসম ও হিমাচল প্রদেশ।
এখন রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা চলছে কলকাতা, পুণে, রাজকোট ও নাগপুরে। অর্থাৎ, আইপিএলের মাঠগুলির মধ্যে একমাত্র কলকাতার ইডেনে খেলা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য আইপিএলের কিছু মাঠ ব্যবহার করা হতে পারে। বোর্ডের এই নতুন নির্দেশিকায় সমস্যা পড়তে পারে কেকেআর।
কারণ, ইডেনে আলাদা করে কোনও অনুশীলনের মাঠ নেই। ফলে যদি কেকেআরকে সেখানে অনুশীলন বা শিবির করতে না দেওয়া হয়, তা হলে অন্য কোথাও সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যে মাঠে খেলা হয়, সেই মাঠে অনুশীলন করলে ক্রিকেটারদের সুবিধা হয় মাঠ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার।
আইপিএলে বেশির ভাগ খেলা সন্ধ্যায়। ফলে ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করেন ক্রিকেটারেরা। ইডেনে সেই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কেকেআর যদি সেখানে অনুশীলন করতে না পারে তা হলে পরবর্তীতে খেলতে সমস্যা হতে পারে। একই সমস্যায় পড়তে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। কারণ, ওয়াংখেড়েতেও আলাদা করে অনুশীলনের মাঠ নেই।
২১ মার্চ থেকে শুরু আইপিএল। তার অন্তত দু’সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি শিবির করে সব দল। ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়। আইপিএলে ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে চায় সব দল। কিন্তু যদি ঘরের মাঠে অনুশীলনই না করা যায়, তা হলে সেই সুবিধা কতটা নেওয়া যাবে? এখন দেখার বোর্ডের এই নির্দেশিকার পরে আইপিএলের দলগুলির তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন