সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বের সব তাবড় তাবড় ব্যক্তি, সেলিব্রিটিরা নিম করোলি বাবার কাছে ছুটে যান! কারণটা কি আপনি জানেন? কে এই নিম করোলি বাবা? কী তার মাহাত্ম্য? তিনি কি সত্যিই বজরংবলির অবতার? বিরুষ্কা, জুকারবার্গ থেকে স্টিভ জোবস, কেন ছুটে যান নিম করোলি বাবার আশ্রমে? তাঁর অলৌকিক ঘটনা স্তম্ভিত করবে আপনাকে। থামিয়েছেন বৃষ্টি, দেশলাই ছাড়া জ্বালিয়েছেন আগুন, নদীর জল পরিণত হয়েছে ঘি'তে! নিম করোলি বাবার আশ্রম ঘিরে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রহস্য! ঘুম থেকে ওঠার পর সকালে বলুন নিম করোলি বাবার এই মন্ত্র। সাফল্য ছুঁয়ে থাকবে আপনাকে। আপনার ধনী হওয়া কেউ রুখতে পারবে না।
কিভাবে পাবেন আপনি ভগবানের সান্নিধ্য? পথ দেখিয়েছেন নিম করোলি বাবা। "জীব সেবাই ভগবানের সান্নিধ্যে থাকার সহজতম উপায়", এই মতেরই প্রচার করেন তিনি। নিম করোলি বাবাকে অনেকেই চমৎকারি বাবা বলেন। নামেই তাঁর পরিচয়। দেশ-বিদেশের মানুষ এই নামেরই অন্ধ ভক্ত। নিম করোলি বাবা। আসল নাম হল লক্ষ্মীনারায়ণ শর্মা। উত্তরপ্রদেশের আকবরপুরে তাঁর জন্ম।
একজন আধ্যাত্মিক সাধু, দিব্য দৃষ্টিসম্পন্ন মহান গুরু! তাঁর ভক্তরা তাঁকে হনুমানজির অবতার বলেও বলেন। একের পর এক তিনি হনুমানজির মোট ১০৮টি মন্দির তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কিভাবে হয়ে উঠলেন তিনি নিম করোলি বাবা? জার্নিটা কেমন ছিল? জানা যায়, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি যাবতীয় জ্ঞান-বিদ্যা অর্জন করে ফেলেছিলেন। মাত্র এগারো বছর বয়সে নিজের অমতে, বাবা-মায়ের ইচ্ছের কারণে বসেছিলেন বিয়ের পিড়িতে।
তবে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই সাধু হওয়ার জন্য সংসারজীবন ত্যাগ করেন তিনি। পরে ফের সংসার জীবনে ফেরেন। দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের বাবা হন। বজরংবলীকে তিনি অনেকবার প্রত্যক্ষ করেছেন বলেও মনে করেন তাঁর ভক্তরা। তিনি বজরংবলীর আশীর্বাদেই উপবাস, আত্মত্যাগ ও করুণার ক্ষমতা লাভ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। নিম করোলি বাবাকে ঘিরে একাধিক অলৌকিক ঘটনা প্রচলিত রয়েছে।
জানা যায়, একবার তাঁর কৈঞ্চি ধামের ভান্ডারে ঘি কম ছিল। সেই সময় নিম করোলি বাবা নদী থেকে জল আনতে বলেন। সেই জলকে ঘিতে রূপান্তরিত করেন তিনি। আবার এও শোনা যায়, একবার কৈঞ্চি ধামে বজরংবলীর দর্শন করতে আসা ভক্তরা দেশলাইয়ের কাঠি আনতে ভুলে গেছিলেন। তখন নিম করোলি বাবা কাঠি ছাড়াই আগুন জ্বালিয়ে স্তম্ভিত করেছিলেন সবাইকে। সেইবার হনুমানগড়ি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছিল। বৃষ্টির কারণে বাধা আসে। অলৌকিক উপায়ে নিম করোলি বাবা সেই বৃষ্টি থামিয়ে দেন। এমন বহু ঘটনার বিবরণ তাঁর ভক্তদের মুখে শোনা যায়।
দেশ-বিদেশের বহু মানুষই তাঁকে ‘মহারাজজি’ নামেই চেনেন। হ্যাঁ শুধু ভারত নয়, ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকেই তাঁর কাছে বিদেশি বিদেশের অনেক বড় তারকাও এসেছেন তাঁর সান্নিধ্যে। শোনা যায় তাঁর দুয়ার থেকে নাকি কেউ খালি হাতে ফেরে না। সেলিব্রিটি তকমা ঝেড়ে ফেলে সাধারণ ভক্ত হিসেবে বৃন্দাবনে নিম করোলি বাবা আশ্রমে ছুটে যান বিশ্বের সব তাবড় তাবড় মানুষ। মাটিতে বসে মাথা ঝুঁকিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন তাঁরা।
আধ্যাত্মিকতার খোঁজে মাঝেমধ্যেই বৃন্দাবনে নিম করোলি বাবার আশ্রমে ছুটে যান বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। একদিনের ক্রিকেটে বিরাটের একের পর এক সেঞ্চুরি করার পিছনে হাত রয়েছে এই নিম করোলি বাবার, এমন গুঞ্জন যেমন শোনা যায় নেটপাড়ায়। তেমনই স্টিভ জবস, জুলিয়া রবার্টস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেনবার্গের মতো ব্যক্তিত্বও যে নিম করোলি বাবার পানিতে এসেছেন সে কথাও সর্বজনবিদিত।
মাত্র একদিন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, হঠাৎ করেই আধ্যাত্মিক টান অনুভব করায় বেশ কয়েক দিন নিম করোলি বাবার ওই আশ্রমে কাটিয়েছিলেন জুকারবার্গ। শোনা গেছিল এই কথাও। তারপরেও রেখেছেন যোগাযোগ। আর হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস তো এই বাবার এক বড় ভক্ত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতে নিম করোলি বাবার ছবি দেখে আমার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। আমি জানতামও না, কে তিনি। অজানা এক কারণে ওনার প্রতি আকৃষ্ট হই আমি। নিম করোলি বাবার জন্যই আমি হিন্দু ধর্মের প্রতিও টান অনুভব করি।’’
আপনিও যদি, জীবনে দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন অথচ সফল হচ্ছেন না। আপনার ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না। তাহলে আপনি ঘুম থেকে ওঠার পর নিম করলি বাবার এই মন্ত্র জপ করতে পারেন। "আমার খুব অপবিত্র মন, বিশ্বাস এবং ভক্তি বর্জিত। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি, ভক্তির এই ফুল গ্রহণ করুন কৃপাসিন্ধু গুরুদেব আপনার চরণে।" আর ধনী হতে চাইলে মনে রাখুন নিম করোলি বাবার এই বাণী। "যে ব্যক্তি আয়ের একটা অংশ পূণ্য বা দানের কাজে ব্যয় করেন, তাদের কখনো অর্থাভাব হয় না। সর্বদা দরিদ্রদের সাহায্য এবং দান করা উচিৎ। এতে সেই ব্যক্তি ধনী হতে পারে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন