সমকালীন প্রতিবেদন : ঠিক যেখানে ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করলেন মহম্মদ শামি৷ মাঝে বেশ কয়েকমাস চোট নামক এক 'দানবে'র সঙ্গে চলেছে নিরন্তর লড়াই৷ বাইশ গজে প্রত্যাবর্তনে ধাক্কা খেয়েছেন বারেবারে৷ কিন্তু 'হাল ছেড়ে দেওয়া' শব্দটা বোধহয় শামির অভিধানে নেই৷
তিনমাস আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে দিয়ে বাইশ গজে ফিরেছেন৷ পরবর্তীতে ঘরের মাঠে গত ইংল্যান্ড সিরিজে ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। উইকেট আসলেও চেনা ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। কিন্তু বুধবার আইসিসি ইভেন্টে প্রত্যাবর্তনে ফের আগুন ঠিকরে বেরলো শামির স্পেলে।
২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ করেছিলেন সর্বাধিক উইকেটশিকারি হিসেবে৷ এদিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেটশিকারি হওয়ার সম্ভাবনা আবারও উসকে দিলেন শামি৷ সেইসঙ্গে গড়ে ফেললেন একাধিক রেকর্ড৷ প্রথম ওভারেই এদিন শূন্য রানে সৌম্য সরকারকে ফেরান ডানহাতি পেসার৷
এরপর একে একে শামির শিকার হন মেহিদি হাসান মিরাজ, জাকের আলি, তানজিম হাসান এবং তাসকিন আহমেদ৷ এর মধ্যে ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওডিআই ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শামি৷ তাও আবার দ্রুততম হিসেবে৷
বলের নিরিখে এর আগে দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির ছিল মিচেল স্টার্কের ঝুলিতে। ৫,২৪০ বলে এই নজির গড়েছিলেন তিনি৷ এদিন অজি পেসারকে টপকে ৫,১২৬ ডেলিভারিতে রেকর্ড পূর্ণ করেন শামি৷ তবে ম্যাচের নিরিখে দ্রুততম হিসেবে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন ভারতীয় পেসার৷
১০৪ ম্যাচে ২০০ ওডিআই উইকেট পূর্ণ হল তাঁর৷ শীর্ষে থাকা স্টার্ক ১০২ ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন দু'শো উইকেটের মাইলস্টোন৷ এখানেই শেষ নয়। পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাহির খানকে টপকে আইসিসি ওডিআই টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে ফেলেন শামি।
৫৯ উইকেট নিয়ে এতদিন তালিকার শীর্ষে ছিলেন জাহির খান৷ তাসকিন আহমেদকে ফিরিয়ে এদিন প্রাক্তনীকে টপকে যান শামি৷ আইসিসি ওডিআই টুর্নামেন্টে উত্তরপ্রদেশের এই ক্রিকেটারের ঝুলিতে এখন ৬০টি উইকেট৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন