সমকালীন প্রতিবেদন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিখুঁত মহড়া সারল টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে জস বাটলারের ইংল্যান্ডকে, তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল রোহিত শর্মার ভারত। নাগপুরে প্রথম ওডিআই ৪ উইকেটে জেতার পর কটকেও ভারত ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছিল। বুধবার আহমেদাবাদে নিয়মরক্ষার ম্যাচও ভারত হেলায় হারাল ইংরেজদের। ১৪২ রানে জিতল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার একাধিক টেনশন দূর হল।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য, শুভমন গিল ও শ্রেয়স আইয়ারের মতো টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়া এবং রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ফর্মে ফেরা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রোহিত। আর এবার সেঞ্চুরি না পেলেও হাফ-সেঞ্চুরি করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিরাট কোহলি।
রোহিতের মতোই বিরাটের ফর্মও ছিল রীতিমতো চিন্তার বিষয়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে রানের খরার কারণেই, বিরাট-রোহিতকে রঞ্জি খেলতে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। অবশেষে রোহিতের পর বিরাট দেখলেন রানের মুখ। তিনে নেমে কোহলি ৫৫ বলে ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন এদিন। দারুণ ছন্দেই ব্যাট করছিলেন তিনি। ৯৪.৫৪-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন বিরাট। ইনিংস সাজিয়েছেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায়।
মনে করা হচ্ছিল যে, বিরাট এদিন হয়তো শতরান করে মাঠ ছাড়বেন। কিন্তু ১৮ নম্বর ওভারের শেষ বলে, তিনি উইকেট দিয়ে আসেন আদিল রশিদের বলে। ফর্মে ফিরেই কোহলি বিরাট ইতিহাস লিখলেন। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০০ রান করলেন তিনি।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে ৪০০০ রানের মাইলস্টোন তৈরি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হলেন কোহলি। সব ফরম্যাট মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোহলি ৮৭টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৮টি সেঞ্চুরি এবং ২৩টি হাফ-সেঞ্চুরি। এছাড়াও, এশিয়ায় সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ১৬ হাজার রান করার নজির গড়লেন বিরাট কোহলি।
টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। সচিন এশিয়ায় ১৬ হাজার রান করতে নিয়েছিলেন ৩৫৩ ইনিংস, কোহলি করলেন ৩৪০ ইনিংসে। এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এটিই ছিল ভারতের শেষ ম্যাচ। তাই আপাতত রানে ফিরে স্বস্তিতে বিরাটও। এবার টার্গেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের সেরাটা দেওয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন