Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রহস্যে ঘেরা পুরীর জগন্নাথ মন্দির

 

Jagannath-Temple-in-Puri

সমকালীন প্রতিবেদন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গায়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রহস্য। কেন নো ফ্লাইং জোন এই মন্দির চত্বর? জানেন, এই জগন্নাথ মন্দিরের মাথায় কি লাগানো আছে? কেন উড়তে পারে না কোনো পাখি, প্লেন? কেনইবা মন্দিরের চূড়ায় লাগানো পতাকা ওড়ে হাওয়ার বিপরীতে? দেখেছেন এই মন্দিরের ভেতর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অদৃশ্য গঙ্গা? অগুনতি রহস্য! লজিক আছে? কি বলছে সায়েন্স? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন পুরীর মন্দিরের পাহারায় কে রয়েছে? সত্যিই কি সব কিছুতেই জড়িয়ে ধর্ম? নাকি এই সবকিছু অন্ধবিশ্বাস? 

হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দির। যে মন্দিরের ওপর দিয়ে কেন প্লেন বা পাখি উড়তে পারে না, তার লজিক বা যুক্তি অনেকের কাছেই অজানা। তাহলে শুনুন, বিশ্বাস করা হয়, শ্রীবিষ্ণুর বাহন গরুড় পুরী জগন্নাথ মন্দিরকে কড়া পাহারায় রেখেছেন। রক্ষা করে চলেছেন। এই পক্ষীরাজ গরুড় পাখিদের রাজা। তাই অন্য পাখিরা মন্দিরের উপর দিয়ে যেতে ভয় পায়। 

অথচ এটা কি আপনি জানেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপরে একটি অষ্টধাতুর চক্র রয়েছে? যা নীল চক্র নামে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, ওই চক্র মন্দিরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া প্লেনের গতিপথে বাধার সৃষ্টি করে। আসলে নীল চক্রের ম্যাগনেটিক পাওয়ারের জন্যই ওই মন্দির চত্বর নো ফ্লাইং জোনে পরিণত হয়েছে। ফলে মন্দিরের উপর দিয়ে প্লেন, পাখি উড়ে যেতে পারে না। 

ওই চক্রের আরো একটা গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু। মন্দিরের চূড়ায় লাগানো সুদর্শন চক্রটি অষ্ট ধাতুর তৈরি এবং শহরের যে কোনোও প্রান্ত থেকে ওই চক্রটাকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে আশ্চর্য ব্যাপার হল, ওই বিশেষ শক্তিশালী চক্রটি ঝড়, বৃষ্টি এবং যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও মন্দিরকে টলে যেতে দেয় না। লাগতে দেয় না আঁচ। তবে শুধু চক্র নয়। জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় লাগানো পতাকার বিশেষত্বও কিছু কম নয়। এর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে পুজো হওয়া, না হওয়ার ভবিষ্যৎ! 

আপনি কি জানেন, এই পতাকাটি বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে? পতাকাটি প্রতিদিন সকালে লাগানো হয় এবং সন্ধ্যায় খুলে নেওয়া হয়। কোনও সাপোর্ট ছাড়াই খালি হাতে মন্দিরের দেওয়াল বেয়ে এই পতাকা পরিবর্তন করেন এক ব্যক্তি। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ যাই হোক। এই নিয়মের কোনও পরিবর্তন নেই। যেদিন এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে, তার পরবর্তী ১৮ বছর নাকি মন্দিরের পূজো বন্ধ থাকবে। 

অদ্ভুত রহস্যের আধার। ভাবতেও অবাক লাগে রথযাত্রার সাথে সাথে বছরভর যে পুরীর মন্দির পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ছয়লাপ থাকে, তার পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস, শিল্পকলা আর রহস্যের হাতছানি। অনেকেই হয়তো জানেন না সিংহদুয়ারের চমক! সমুদ্রের খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েই সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাওয়ার কথা। অথচ সমুদ্রের খুব কাছে অবস্থিত হলেও জগন্নাথ মন্দির থেকে ওই গর্জন শুনতে পাওয়া যায় না। 

কিন্তু সিংহদুয়ারে প্রবেশ করলেই সমুদ্রের শব্দই কানে আসে। রহস্যময় ওই দুয়ার পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ফের সমুদ্রের গর্জন কানে আসে না। ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, পুরীতে যেখানে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, সেখানে কোথাও নদীর চিহ্নমাত্র নেই। অথচ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে নাকি গঙ্গা নদীর গোপন প্রবাহ রয়েছে। কি চমকে গেলেন তো? এক নয়, এমন একাধিক রহস্যের জাল কেটে এই পুরীর মন্দিরের রহস্য ভেদ করা কঠিন নয়, অসম্ভব।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন