সমকালীন প্রতিবেদন : গুগলে গিয়ে ইচ্ছেমতো সার্চ করছেন? একটু লাগাম টানুন। না হলে হতে পারে বিপদ। ভুলেও গুগলে সার্চ করবেন না এই জিনিসগুলো। জেল হতে পারে আপনার। লাগতে পারে জরিমানাও। কয়েকটা জিনিস সার্চ করা পুরোপুরি ব্যান ইন্টারনেটে। কি কি লিখবেন না? কোন কোন বাক্য সার্চ ইঞ্জিনে ভুলেও ফেলবেন না? জানুন এই প্রতিবেদনে।
‘How to make a Bomb’ ভুল করেও এই বাক্যটা সার্চ ইঞ্জিনে ফেলবেন না। ফেললে শাস্তি অনিবার্য। কারণ, বেশিরভাগ দেশেই বোমা বা বিস্ফোরক তৈরি করা নিষিদ্ধ। তাই বোমা বা বিস্ফোরক তৈরি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে পড়লে, তাতে নজরদারি শুরু হয়ে যায়। ধরেই নেওয়া হয়, নাশকতার জন্য এটা করা হচ্ছে। তাই কোথা থেকে এই সার্চ হচ্ছে, তা সহজেই খুঁজে বের করতে পারে পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট যে কোনও বিভাগ। তাই কৌতূহল, জানার আগ্রহ, উৎসাহ এগুলো যতই থাকুক, কিছু ক্ষেত্রে সেগুলোতে ব্যারিকেড দিন।
ইন্টারনেটে মানুষ কি খোঁজেন না বলুন তো আজকাল। আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট, সব। কিন্তু ভুলেও যে জিনিসটা আপনি সার্চ করবেন না, সেটা হল "চাইল্ড পর্নোগ্রাফি"। মনে রাখবেন, চাইল্ড পর্ন সংক্রান্ত যে কোনও সার্চ মনিটরড হয়। যে বা যারা চাইল্ড পর্ন সংক্রান্ত সার্চ বেশি করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। কেন জানেন? আসলে, বিশ্বের যে কোনও দেশই কিন্তু এই চাইল্ড পর্ন নিয়ে অত্যন্ত কড়া।
ভারতে শিশু নিগ্রহ বা চাইল্ড পর্নের বাড়বাড়ন্ত রুখতে রয়েছে পকসো আইন, যা অত্যন্ত কড়া। এতে জেল এবং জরিমানা দুটোই হয়। সারা বিশ্বেই পকসোর মতো অত্যন্ত কড়া আইন আছে। তাই যে সব সাইট চোরাগোপ্তাভাবে চাইল্ড পর্ন ছড়ায়, সেগুলোকে নিয়ম করে ব্যান করা হয়। আর যারা "চাইল্ড পর্ন" এ আসক্ত হয়ে এই ধরনের সাইটে বেশি ঘোরাফেরা করছেন, তাদের জন্য বিষয়টা কিন্তু যথেষ্ট রিস্কের হয়ে যাচ্ছে।
নেক্সট পাইরেটেড ভিডিও বা পাইরেটেড মুভি সার্চ। এই টার্ম'টার সঙ্গে আপনি হয়তো পরিচিত নন। কিন্তু এই কাজটা আপনি করছেন এবং ভুল করছেন। বেশিরভাগ মানুষ গুগল থেকে বিনামূল্যে সিনেমা পেতে চান। অথবা বিনামূল্যে সিনেমা দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফিল্ম পাইরেসি করতে বা গুগলে সার্চ করতে দেখা গেলে, সেটা কিন্তু জেল হওয়ার মতোই অপরাধ। এটা সবচেয়ে কমন ভুল।
সমীক্ষা বলছে, বেশিরভাগ ইন্টারনেট ইউজারের প্রবণতাই থাকে পাইরেটেড সিনেমা সার্চ করা। কোনও একটা ভালো সিনেমা এসেছে, সেটা হলে দেখতে যাওয়ার সময় নেই, তাই সার্চ করে অনেকেই দেখে নেন, ওই মুভি ইন্টারনেটে এসেছে কি না। অনেকে তা পেয়ে গিয়ে অবলীলায় ডাউনলোডও করে ফেলেন। এটাই অপরাধ। যে কারণে হতে পারে আপনার ৩ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস ও কপিরাইট লঙ্ঘন করা হয় পাইরেটেড মুভি নামালে। জেনে রাখুন, যে যে সাইট পাইরেটেড মুভি দেয়, সেগুলোকে নিয়ম করে ব্লক করা হয়। একইভাবে যাঁরা নিয়ম করে এই রকমের মুভি নামান, তাঁদের উপরও কড়া নজরদারি চলে। এছাড়াও, গর্ভপাত সম্পর্কিত অনুসন্ধান এড়িয়ে চলুন। কারণ, ভারতে গর্ভপাত অবৈধ। এক্ষেত্রেও জেল হতে পারে অপরাধ প্রমাণিত হলে।
শুধু এগুলোই নয়। হ্যাকিং সংক্রান্ত কোনও টিউটোরিয়াল এবং সফটওয়্যারের খোঁজ করছেন? বড় ভুল হচ্ছে। হ্যাকিং একটা গুরুতর অপরাধ। ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং কম্পিউটার ফ্রড এবং অ্যাবিউজ অ্যাক্টে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এই হ্যাকিং।
তাই ভুল করেও হ্যাকিং সংক্রান্ত কোনও তথ্য সার্চ করবেন না। এটা করলেই ধরে নেওয়া হবে, আপনিও কোনও গুরুতর অপরাধ করতে যাচ্ছেন। এর জন্য জেল এবং জরিমানা দুটোই হতে পারে। তাই যে কোন জিনিস জানার উৎসাহ বা আগ্রহ থাকা ভালো, কিন্তু অপরাধ বা ক্রাইম রিলেটেড অনুসন্ধান এড়িয়ে চলুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন