সমকালীন প্রতিবেদন : আবার একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট, আবার একটা বিজয়রথে টিম ইন্ডিয়া। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩, টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। জয় দিয়েই টুর্নামেন্টে পা রাখলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। মরুদেশে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে পর্যুদস্ত করল ভারত। তবে এই ম্যাচের হিরো দু'জন- শুভমন গিল, মহম্মদ শামি।
একজন আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন, অন্যজন আইসিসি টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশিবার পাঁচ উইকেট শিকারি হিসেবে নাম লেখালেন ইতিহাসের খাতায়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে কেন 'ফেভারিট' হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা বুঝিয়ে দিলেন রোহিত শর্মার সৈনিকরা।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। টাইগারদের টপ অর্ডারকে রীতিমতো ধসিয়ে দেন মহম্মদ শামি। তাঁকে সঙ্গ দেন হর্ষিত রানা। দু'জনেই চূড়ান্ত সফল এই ম্যাচে। 'ফাইফার' নিয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন শামি। এদিকে, হর্ষিতের হাতে এল তিন উইকেট।
হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও দু'টি উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল। তবে হৃদয় এবং জাকির আলির ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তাঁদের দু'জনের ব্যাট কথা না বললে হয়তো এই ম্যাচের গল্পটা অনেকটাই আলাদা হতে পারত। কিন্তু তাঁরা দলকে ২২৮ রান পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করেন। হৃদয় করেন ১০০, জাকির ৬৮ রান করে আউট হন।
বাংলাদেশের বাদবাকি ব্যাটাররা সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি ক্রিজে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালোই ছিল। রোহিতের ব্যাট থেকে কোনও ছক্কা না এলেও ৭টি চারের বিনিময়ে আসে ঝকঝকে ৪১ রানের ইনিংস। কিন্তু ফের বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন হিটম্যান।
৬৯ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভারতকে ম্যাচে কিছুটা এগিয়ে দেয়। বিরাট কোহলিও বড় স্কোর করতে পারেননি। তিনি ২২ রান করে আউট হন। শ্রেয়স আইয়ার করেন ১৫, অক্ষর প্যাটেল করেন ৮ রান। তারপর থেকে আর উইকেট পড়েনি। কে এল রাহুল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতালেন ভারতকে।
তিনি আউট না হয়ে করেন ৪১। তবে এই ম্যাচের সুপারস্টার শুভমন গিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকিয়ে থেকে ম্যাচ বের করে আনলেন তিনিই। ১২৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। আর এভাবেই জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখল ভারতীয় দল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন