Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

৭টি খাবার ভুলেও গরম ‌করে খাবেন না

 ‌

Heating-food

সমকালীন প্রতিবেদন : খাবার গরম করে খাচ্ছেন? মারাত্মক ভুল! জানেন আপনি বিষ খাচ্ছেন? ফ্রিজ থেকে বের করার পর গরম করে যে ৭ টা খাবার ভুলেও খাবেন না, সেই তালিকা থাকবে আজকের এই প্রতিবেদনে। খেলেই আপনার লাইফ রিস্ক হতে পারে। প্রতিদিন যে ভাত মুখে তুলছেন নিশ্চিন্ত, তা থেকে কী হতে পারে আন্দাজও নেই আপনার।

আজকাল মানুষ খুব ব্যস্ত। হাতে সময় কম। তাই একটু বেশি পরিমাণে রান্না করে ফ্রিজে খাবার স্টোর করে দেন অনেকেই। আর পরে খাওয়ার সময় ফ্রিজ থেকে খাবারটা বের করে গরম করে নিলেই ব্যাস। কিন্তু আন্দাজও নেই যে কত বড় ভুলটা এখানেই আপনারা করে ফেলছেন! নিজের এবং গোটা পরিবারের বিপদ ডেকে আনছেন।  

প্রথমেই বলবো ভাতের কথা। সময় বা গ্যাস বাঁচাতে ভুলেও দু’বেলার ভাত একসঙ্গে করে রাখবেন না। গ্যাস থেকে নামানোর পর ভাত যদি ঘরের তাপমাত্রাতেই রেখে দেওয়া হয়, তা হলে সেই ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে নানান ব্যাক্টেরিয়া ওই ভাতে জন্মাতে শুরু করে। ফ্রিজে রাখলেও এক জিনিস হতে পারে। আর সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয়, তবে ব্যাক্টেরিয়াগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এইভাবে ভাত গরম করে খেলে বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে আপনার। কী জানতেন না তো?

এবার আসা যাক আলুর কথায়। যেটা একদম সিম্পল জিনিস। মানে যেগুলো ঘরে প্রায়শই আমরা গরম করে খাই। এই ধরুন আলুর তরকারি বারবার গরম করে খাবেন না। এতে আলুর যে নিজস্ব পুষ্টিগুণ, সেটা নষ্ট হয়ে যায়। গরম করা আলুর তরকারি খেলে পেটের সমস্যা হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। না, আমরা বলছি না এই কথা, বলছেন গবেষকরা।

তাঁরা বলছেন, শুধু ভাত বা আলু নয়। রান্না করা ডিম বারবার গরম করলেও তা বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। ফলে হতে পারে ক্যান্সার। তাছাড়া গরম করা ডিমে নানা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এসব ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। এর থেকে পেটের যে কোনো অসুখ হতে পারে। তাই ডিম গরম করে খাওয়ার আগে একবার নয়, একশোবার ভাবুন।

যেহেতু ডিম রয়েছে এই তালিকায়, তাই অনেকেরই এবার মনে হতে পারে যে, আমরা তো মাংসও গরম করে খাই। অনেকেই বলেন, বাসি মাংস গরম করে খেলে নাকি টেস্ট আরো বেড়ে যায়। এটা আরেকটা ভুল। কারণ, ডিমের মতো মুরগির মাংসতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই এটাও বারবার গরম করে খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্যের সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি হতে পারে। মুরগির মাংস গরম করার সময়ে প্রোটিনের গঠন খানিকটা বদলে যায়, যা খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই একান্তই যদি মাংস বেশি পরিমাণে রেঁধে ফেলেন, তাহলে ফ্রিজ থেকে বের করে ঘরোয়া তাপমাত্রায় রেখে তারপর খান।

শাকের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এক। আবার দেখবেন অনেকেই চা ঠান্ডা হয়ে গেলেও পরে আরেকবার গরম করে খান। সেটাও ভুল। এতে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। আরেকটা জিনিস মাশরুম। এতেও পেটের সমস্যা হতে পারে। দ্বিতীয়বার গরম করলে মাশরুমের প্রোটিনের কম্পোজিশন ভেঙে যেতে পারে।

তাই প্রয়োজনে কম রাঁধুন। কিংবা খাবার ফ্রিজে রাখলেও সেটা বের করার পর দ্বিতীয়বার গরম না করে ঘরোয়া তাপমাত্রায় আসার জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর সেই খাবারটা খান। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়। স্বাস্থ্যই আমাদের বড় সম্পদ।‌‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন