Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

গুলেন বেরি সিনড্রোম হুহু করে বাড়ছে কোচবিহারে

 ‌

Guillain-Barré-syndrome

সমকালীন প্রতিবেদন : গুলেন বেরি সিনড্রোমের বাড়াবাড়ি। ভারতে কোথা থেকে ছড়াচ্ছে গুলেন বেরি? সমীক্ষায় উঠে এলো চঞ্চল্যকর তথ্য। অবশ্যই মাস্ক পড়ুন। জল থেকেই যত গন্ডগোল! কোচবিহারে পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল? ‌বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকেরা কি বলছেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানুন লেটেস্ট আপডেট।

যখন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, খুব স্পষ্ট ভাবে এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানে গুলেন বেরি সিনড্রোমের উত্তর নেই, তখনও সাধারণ মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে না। এই রাজ্যের কোচবিহার জেলায় গুলেন বেরি সিনড্রোমের বাড়বাড়ন্ত। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। জেলা জুড়ে গুলেন বেরি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা চিন্তিত। সেক্ষেত্রে জানার দরকার জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এই মুহূর্তে ঠিক কিরকম? বা গুলেন বেরি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ঠিক কি ধরনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি রাখা হয়েছে? 

তথ্য বলছে, এই রোগের আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করার জন্য প্রয়োজন একটা বিশেষ ইনজেকশন। এই ইনজেকশন বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজারের মতো রয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে কোচবিহারের চিকিৎসকরা বারংবার সবাইকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রথম নয়। এর আগেও গুলেন বেরি রুখতে কি খাওয়া দাওয়া করা উচিত বা উচিত নয়, ‌তাছাড়াও কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, সেগুলো নিয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসকরা নানান পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মানুষের টনক নড়ছে না। 

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, জিবিএস মূলত পেশির অসুখ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্নায়ুকে আক্রমণ করে। সেখান থেকেই অসুখটি হয়। এর পিছনে যে কোনও ধরনেরই সংক্রমণের ভূমিকা থাকতে পারে। সেখান থেকেই সমস্যাটার সূত্রপাত। কি কি এড়িয়ে চলা ভালো, এই প্রতিবেদনের শেষে তার আবারও উল্লেখ থাকবে। তার আগে জানিয়ে রাখি, কিভাবে এই গুলেন বেরি ছড়ালো ভারতে। উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তথ্য অনুসারে ১৪ টি আরও জলের প্ল্যান্ট থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়েছে, সেখান থেকেই নাকি আসছে গুলেন বেরির জীবানু। সম্প্রতি জলের একটা পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, এই জলে এক ধরণের জীবানু রয়েছে। ৩০ টি আরও প্ল্যাটের উপরেই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায় এই জলের প্ল্যান্টগুলো থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রোগ সৃষ্টিকারী জীবানু রয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। প্ল্যান্টগুলো নিয়ে করা হয় কঠোর পদক্ষেপ। শহরবাসীর স্বাস্থ্যের দিকটা মাথায় রেখে তারা সবকটি প্ল্যান্টের জলকে ফের নতুন করে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

এখানেই শেষ নয়, পুনের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জলের প্রতিটি ট্যাঙ্কের জল পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখান থেকেই কপিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। যে জল প্রচুর মানুষ খায়। সেখান থেকে এই জীবানু ছড়িয়েছে বলেই অনুমান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সংক্রামক ব্যাধি নয়, অর্থাৎ এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়ায় না। বা ছোঁয়াচেও নয়। সেক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এই রোগ থেকে বাঁচার মূল মন্ত্র।

সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এড়িয়ে চলুন রাস্তায় বিক্রি হওয়া কাঁটা ফল, বাইরের যে কোনো খাবার, অপরিশোধিত জল, কাঁচা বা অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস। এমনকি দুধও আপাতত না খাওয়াই ভাল। পনির, চিজ জাতীয় দুগ্ধজাত খাবারগুলোও এড়িয়ে চলুন। ভাতও বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তাহলে কি কি খাবেন এই সময়? ফিল্টার করা জল বা ফোটানো জল। ভালো করে রান্না করা খাবার। হালকা সহজপাচ্য খাবার যেমন ডাল, খিচুড়ি, সবজি, দই কিংবা ঘোলের মতো প্রোবায়োটিক ইত্যাদি। এছাড়া খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন নিয়মিত প্রোটিন এবং ভিটামিন সি সম্বৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, আমলকি, কমলা লেবু খান। এছাড়াও খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। জনবহুল এলাকায় যাতায়াতের সময় মাস্ক ব্যবহার মাস্ট। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুুন।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন