সমকালীন প্রতিবেদন : ক্ষীরাইকেও হার মানাচ্ছে এই "ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার"! বাংলার বুকেই রয়েছে এই ফুলের উপত্যকা। দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। নদীয়ার ফুলের রাজ্য "চাপড়া", ছুঁয়ে দেখেছেন আপনি? মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধু ফুলের সমাহার। "মিনি কুইনে" চোখ আটকাতে বাধ্য। কি কি দেখবেন, কিভাবে পৌঁছবেন? আরো সব খুঁটিনাটি নিয়ে এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পিঠস্থানকে চিনুন আমাদের প্রতিবেদনে।
রজনীগন্ধা, মোরগঝুটি, গাঁদা, গোলাপ, জারবেরা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, বেবি ফুল, সরষে ফুল থেকে শুরু করে গন্ধরাজ। এই ফুলের উপত্যকা যেন স্বপ্নের মতো সুন্দর। অনেকেই হয়তো জানেন না পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রজনীগন্ধা চাষে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে চাপড়া। আসলে চাপড়াতে ফুলের ফলন আগের তুলনায় দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখানে প্রত্যহ হু হু করে বাড়ছে গোলাপ চাষের জমি।
নদীয়ার সব থেকে ভালো মানের গোলাপ পাওয়া যায় এখানেই। সেই গোলাপই "মিনি কুইন" নামে পরিচিত। এই ফুলের আকৃতি কিছুটা ছোট কিন্তু, যেন ফুটে পড়ে লাল রং। আভিজাত্যে ভিন রাজ্যের গোলাপকে হার মানায় "মিনি কুইন"! অন্য গোলাপের থেকে দামও খানিক কম। সাধেই কি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খিরাইকে টেক্কা দিচ্ছে রানাঘাটের চাপড়া?
এক সময় শুধু ফুলের রাজ্য খিরাইতেই ভিড় জমাতো মানুষ। কিন্তু এখন অনেকেই চাপড়াতে এসে চাক্ষুষ করে যাচ্ছেন ফুলের উপত্যকার অনিন্দ্য সুন্দর তাক লাগানো সৌন্দর্য। আসলে মানুষ এখানে আসতে বাধ্য। এমনিতেই ফুল ভালোবাসেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নেই বলা যায়। বছর ভর খিরাই এর মতই এখানকার চাষিরাও পরিশ্রম করে ফুল ফলিয়ে চলেছেন। উৎসব অনুষ্ঠান বিশেষ করে পুজো পার্বণ এবং বিয়ের মরশুমে এখানকার ফুলের আকাশছোঁয়া চাহিদা থাকে।
ফুলের স্বর্গরাজ্যকে তো চিনলেন। এবার এই সুন্দর্যের সাক্ষী থাকতে হবে তো? তাহলে আর দেরি কেন? রানাঘাট স্টেশন থেকে টোটো ভাড়া করে কিংবা ভ্যান অথবা রিকশায় পৌঁছে যাওয়া যায় চাপড়াতে। তবে চাপড়াতে ফুলের দেশ দেখতে গেলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখবেন। ফুলে হাত দেওয়া যাবে না। বিনা অনুমতিতে ফুল ছেড়া বা তোলা চলবে না।
আপনার কোনো ফুল পছন্দ হতেই পারে, সেটা চাষীদের থেকে কিনে নিতে হবে। কারণ, এটাইতো চাপড়ার চাষীদের জীবিকা। তাই যারা রঙিন ফুলের শোভা প্রাণ ভরে অনুভব করতে চান, তাদের কাছে খিরাইয়ের পাশাপাশি আরও একটা দুর্দান্ত অপশন হতে পারে চাপড়া। এখানে থাকার জন্যও বেশ কয়েকটি হোটেল, লজ পেয়ে যাবেন। চাইলে একদিন থেকেও আসতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন