Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দোল পূর্ণিমায় কি কি টোটকা মানলে ভাগ্য খুলবে

 ‌

Dol-Purnima

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌দোলপূর্ণিমার একটা টোটকায়, উপচে পড়বে অর্থ। ১৪ মার্চ বাঙালিদের দোল এবং অবাঙালিদের হোলি, এবার দুই-ই এক দিনে। ওই দিনে প্রিয়জনকে রং মাখানোর আগে জানুন, দোলের বিভিন্ন রঙের মাহাত্ম্য।‌ লাল গোলাপ আর বাতাসাতেই হবে রোগমুক্তি। জানেন কিভাবে মিটবে আর্থিক অনটন? হবে না চাকরি নিয়ে টানাটানিও। পূরণ হবে মনস্কামনা। চন্দ্র দর্শনেই খুলবে ভাগ্য। কিভাবে? দোলপূর্ণিমা স্পেশাল একগুচ্ছ টোটকা থাকলো আজকের এই প্রতিবেদনে।

ফাগুনের এই দোল পূর্ণিমা তিথিতে রঙীন হোক জীবন। তাই মনের সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে, সব দুঃখ ভুলে ওই দিন নিজের পছন্দ মতো রং শ্রীকৃষ্ণের চরণে অর্পণ করে শুরু করবেন রং খেলা। তবে তার আগে জেনে নিন দোলের বিভিন্ন রঙের মাহাত্ম্য :

১) অর্থের জন্য গোলাপি রং বেশি পরিমাণে ব্যবহার করুন। তাছাড়াও গোলাপী রং মনের শক্তি বাড়ায়। এই রং প্রেম গাঢ় করতেও সাহায্য করে।

২) স্বাস্থ্যের জন্য লাল রং। লাল রং দিয়ে দোল খেললে মঙ্গলের কৃপা পাওয়া যায়। এই রং মনকে শান্ত করে।

৩) শিক্ষার জন্য হলুদ রং। হলুদ রং শ্রীকৃষ্ণেরও প্রিয়। আনন্দ ও জ্ঞানের প্রতীক এই রং। সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতার দিক দিয়েও হলুদ রং শুভ। প্রেমিক প্রেমিকারা এই রঙে দোল খেলতে পারেন। যাঁরা সোনা-রুপোর ব্যবসা করেন, তাঁদের জন্যও হলুদ রং দিয়ে দোল খেলা শুভ।

৪) নীল রং দিয়ে দোল খেললে শনিদেবের কৃপা লাভ করবেন। কেরিয়ারের জন্যেও নীল রং ব্যবহার করুন। 

৫) ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সবুজ রং দিয়ে দোল খেলা ভালো। এর ফলে বুধের অবস্থান ভালো হয়।

৬) পার্পল রং আত্মবিশ্বাস ও সমতার প্রতীক। হীনমন্যতা থেকে মুক্তি পেতে এই রং দিয়ে দোল খেলা ভালো।

৭) কমলা রং শক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক। এই রং মনের শক্তি, প্রেম ও সুখ বাড়ায়। মন কোনও কারণে অশান্ত থাকলে কমলা রং দিয়ে দোল খেলুন। 

আর সঙ্গে করুন অব্যর্থ সব টোটকা। এক্ষেত্রে প্রথমেই আলোচনা করব, ধন সম্পত্তি বাড়াতে কি করবেন ওইদিন? দোলের দিন যদি দরিদ্র মানুষকে কিছু দান করা যায়, তাহলে সম্পত্তির পরিমাণ উত্তোরোত্তর বাড়তে পারে। এর ফলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি ও শান্তি ক্রমেই বাড়বে বলে মত জ্যোতিষবিদদের। 

এছাড়াও যদি চাকরি ক্ষেত্রে কোনও সংকট থাকে, বা কর্মক্ষেত্রে বিপদ আসন্ন বোঝেন, তাহলে দোলের দিন সেই সংকট থেকেও মুক্তির একাধিক উপায় রয়েছে। দোলের আগের রাতে হোলিকা দহনের সময় একটা নারকেল অর্পণ করুন। পাবেন কাঙ্খিত ফলাফল। এমনকি, আর্থিক অনটন মেটাতেও হোলিকা দহনের পুজোয় পান, সুপারি ও নারকেল দিলে তাতে মেলে কাঙ্খিত ফলাফল। সঙ্গে দিতে হবে একটা মিষ্টি। এতে সংসারের আর্থিক সংকট কেটে যায় বলে মত বহু বিশেষজ্ঞের। 

আর রোগমুক্তির উপায়? যদি বাড়িতে কোনও ব্যক্তি অসুস্থ থাকেন দীর্ঘদিন ধরে, তাহলে দোল পূর্ণিমার দিন, একটা লাল গোলাপ ও বাতাশা নিয়ে সেই ব্যক্তির দিকে ৩১ বার ঘুরিয়ে নিন। এরপর বাতাশা ও গোলাপটাকে দূরে কোথাও ফেলে আসতে হবে। গোটা বিষয়টা যাতে কেউ দেখতে না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাকি রইল যাবতীয় মনষ্কামনা পূরণ। এর জন্য হোলিকা দহনের সময় আগুনে ময়দা বা বারলি অর্পণ করে মনের ইচ্ছা জানিয়ে প্রার্থনা করলে, তা মেলে বলে দাবি বহু শাস্ত্রজ্ঞের।

পাশাপাশি যা যা মানলে সুখ সমৃদ্ধিতে ভরবে জীবন, তার মধ্যে দোল পূর্ণিমার দিন বাড়িতে সত্যনারায়ণের ব্রত খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর করতেও দোল পুর্ণিমার দিন একটু হলুদ, গঙ্গাজল ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে বাড়ির সদর দরজার সামনে ওঁ এবং স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। এর ফলে পজেটিভ এনার্জি প্রবেশ করবে ঘরে। 

আর এই দিন রাতে অবশ্যই চন্দ্র দর্শন করুন। চাঁদের দিকে বেশ কিছুক্ষণ একটানা তাকিয়ে থাকা, বাড়ির সদর দরজায় আমের পল্লব দিয়ে সাজানো, আর এই বিশেষ দিনে নিরামিষ আহার রঙের সাথে সাথে ধন দৌলত প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ করবে আপনাকে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন