সমকালীন প্রতিবেদন : বাজার থেকে যা কিনছেন সেগুলো কি আদৌ খেজুর? আসল খেজুর চেনার উপায় জানুন আগে। না হলে হবে বড় ভুল। খেজুর অনেক রকমের হয়। সেই রকমফেরও জানা দরকার। কোনটা খেলে কী উপকার হবে? কোন খেজুরে কমবে ওজন? আকার, নাম আর গুণাগুণ সবটাই থাকছে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে।
অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের জন্য নয়, রাজকীয় ফল খেজুরের খ্যাতি রোগ নিরাময়ের জন্যও। কিন্তু বাজারে খেজুরের নামে চিনা জুজুবি বিক্রি হয়! সেটা কীভাবে বুঝবেন? বুঝিয়ে বলছি। আসলে জুজুবি ফল দেখতে খেজুরের মতোই। জুজুবি হলো চিনের একটা অতি পরিচিত ফল। চিনে এই ফলের চাষ যেমন হয়, তেমনই এর ডিমান্ড ও সাঙ্ঘাতিক।
জুজুবি কাঁচা অবস্থায় ছোট আপেলের মতো দেখতে। আর পাকার পরে ডিটো খেজুরের মতো দেখতে হয়ে যায়। ঠিক সেই সুযোগেই ভারতের বাজারে আজওয়া খেজুর বলে অনেক জায়গাতেই বিক্রি হয় জুজুবি ফল। বাংলাদেশের বাজারেও ছেয়ে গিয়েছে এই জুজুবি ফল। তবে গুলিয়ে ফেলবেন না। আসল খেজুর চেনার কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলো কি?
বাজারে আসল খেজুর কিনতে হলে তার ত্বক দেখে কিনুন। সতেজ ও তাজা খেজুরের চামড়া সাধারণত কুঁচকানো হবে। উপরের চামড়া হবে চকচকে ও উজ্জ্বল। আসল খেজুরের মিষ্টি কখনোই অতিরিক্ত হয় না, তা হয় সহনশীল। এবার আসা যাক খেজুরের প্রকারভেদে।
১) ডেগলেট নূর : মাঝারি আকারের, নরম। এইরকম খেজুরই বেশি পাওয়া যায় বাজারে। ডেগলেট নূরে শর্করার মাত্রা খুব কম, ফাইবার বেশি। এই খেজুর খেলে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁকও কমবে, আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবারও ঢুকবে। মেদ কমাতে খুবই উপযোগী এই খেজুর।
২) আজওয়া : ভারতে আজওয়া খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সৌদি আরবে খুবই জনপ্রিয় আজওয়া খেজুর। রং কালচে, মিষ্টির পরিমাণ অন্যান্য খেজুরের থেকে সামান্য বেশি। আজওয়া খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। হজমশক্তি ভালো হয়। ফাইবারে ভরপুর এই খেজুর পরিমিত পরিমাণে খেলে তা ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) বারহি : এই খেজুর একটু হলদেটে ধরণের হয়। আকার মাঝারি। ওজন কমাতে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য কঠোর ডায়েট করছেন, তাঁরা সকালে এই খেজুর খেতেই পারেন। এটা খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। হজম ভাল হবে।
তবে এগুলো ছাড়াও আরও দু’রকম খেজুর বাজারে পাওয়া যায়। সুক্কারি ও মেডজুল। কিন্তু এই দু’রকম খেজুরেই প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ওজন কমানোর জন্য এগুলো মোটেও উপযোগী নয়। অতএব বুঝে শুনে খেজুর খান। আর বাজার থেকে খেজুর কেনার আগে চোখ-কান খোলা রাখুন। সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন