সমকালীন প্রতিবেদন : অবশেষে গ্রেপ্তারই করা হলো বনগাঁর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাসকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। তবে কাউন্সিলরের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ তুলছেন রাখি রায় নামে এক মহিলা। এমনকি এলাকার বাইরে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে চিরঞ্জিত তার সঙ্গে রাত কাটিয়েছে বলেও অভিযোগ মহিলার। ওই মহিলা বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কাউন্সিলরের কথায় বিশ্বাস করে তিনি স্বামীর ঘর ত্যাগ করেছিলেন বলে দাবি তার মহিলার।
ওই মহিলার বক্তব্য, কাউন্সিলর চিরঞ্জিত তাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এমনকি তার জন্য একটি ভাড়াবাড়ি দেখে দেয়, যেখানে তিনি মেয়েকে নিয়ে গত ৩ মাস ধরে রয়েছেন। খরচের টাকা চিরঞ্জিতই দিত। পরে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে চিরঞ্জিত তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে বলে মহিলার অভিযোগ। এমনকি খরচের টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দেয় বলে তার দাবি।
এই অবস্থায় গত দুদিন ধরে দফায় দফায় কাউন্সিলর চিরঞ্জিতের মিলনপল্লী এলাকার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই মহিলা। তিনি দাবি করেন, তাকে প্রতারিত করার জন্য আইন অনুযায়ী চিরঞ্জিতের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করে প্রশাসন। চিরঞ্জিতের সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বনগাঁ থানার পুলিশ। পরে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে চিরঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে বনগাঁ আদালতে তোলা হয় চিরঞ্জিতকে। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মামলা রুজু হয়েছে। যদিও ধৃত কাউন্সিলর চিরঞ্জিতের দাবি, রাজনৈতির উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল তাকে ফাঁসাচ্ছে। চিরঞ্জিতের গ্রেপ্তারির ঘটনায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন