সমকালীন প্রতিবেদন : ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৯ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান-দুবাই একসঙ্গে আয়োজন করছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আটারির ওপারে আইসিসি-র টুর্নামেন্ট শেষবার হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। বিশ্বকাপ আয়োজনের ২৮ বছর পর ফের এত বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্বে পিসিবি। ২০১৭ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
চার বছর অন্তর এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ৮ বছর পর আইসিসি-র পরিচালনায় ফিরছে এই টুর্নামেন্ট, যেটাকে অনেকে মিনি বিশ্বকাপও বলে থাকেন। ভারত যেহেতু পাকিস্তানে খেলতে যাবে না, সেহেতু আইসিসি নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দুবাইকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। হাইব্রিড মডেলে হচ্ছে টুর্নামেন্ট।
গতবছর ডিসেম্বরে প্রতিযোগিতার সূচি ঘোষিত হয়ে গিয়েছিল। ৮ দলীয় লড়াই হবে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি করে দল। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গ্রুপ এ। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান গ্রুপ বি-তে। প্রথম ম্যাচ ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে। মুখোমুখি আয়োজক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।
২০ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অভিযান শুরু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান মহারণ। গ্রুপের শেষ ম্যাচ ২ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেমিফাইনাল হবে ৪ মার্চ ও ৫ মার্চ। ফাইনাল ৯ মার্চ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারালেই ইতিহাস লিখবে ভারত।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এখনও পর্যন্ত ১৮ ম্যাচ জিতেছে। আর দুই ম্যাচ জয়ে সেই সংখ্যা হবে ২০। রোহিতরা এমনটা করতে পারলে বিশ্বরেকর্ড করবেন, যা আর কোনও দেশের নেই। দু'বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারত এখনও সবার উপরেই। ভারতের পরে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। যারা ১৪ বার করে জিতেছে। আরেক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ বার জয়ের সুবাদে চার নম্বরে রয়েছে।
যদিও এবার খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি মেরুন জার্সিধারীরা। অস্ট্রেলিয়া আশ্চর্যজনকভাবে ১২ বার জয়ের সুবাদে পাঁচে রয়েছে। প্রতিযোগিতার সহ-আয়োজক পাকিস্তান ১১টি জয় নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে। সেই নিরিখে যে ভারত এখন রেকর্ডের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা একবাক্যে স্বীকার করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন