সমকালীন প্রতিবেদন : আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করবে ভারতীয় দল। ইতিমধ্যেই আইসিসি-র মেগা টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কই দ্বিতীয় আইসিসি ট্রফিতে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুভমন গিলকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক যে, মানুষ তাঁকে পরবর্তী ওডিআই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চলেছেন। কিন্তু না, কাহিনিতে রয়েছে মোড়! ভারত যদি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া স্থলাভিষিক্ত হবেন রোহিতের।
প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর চেয়েছিলেন, হার্দিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতের ডেপুটি হন। তবে রোহিত এবং জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর সেই কথায় কর্ণপাত করেননি। তাঁরা শুভমনকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। গত মরসুমেই রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
ভারতকে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতিয়ে রোহিত দেশের জার্সিতে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটকে আলবিদা বলেছিলেন। আর তারপরেই বিসিসিআই সূর্যকুমার যাদবকে টি-২০ দলের অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেন। রিপোর্ট বলছে, শুধু ওডিআই নয়, আগামীদিনে হার্দিক টি-২০ দলেরও অধিনায়ক হতে চলেছেন।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক ছিলেন রোহিতের ডেপুটি। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে রোহিতের অনুপস্থিতিতে অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হার্দিক। তবে, রোহিতের অবসরের পর সূর্যকে ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল!
রিপোর্ট বলছে যে, বিসিসিআইয়ের কয়েকজন স্টেকহোল্ডার এবং গৌতম গম্ভীর মনে করেন যে, হার্দিক অনেক অবিচারের সম্মুখীন হয়েছেন। ফিটনেসের সমস্যার কারণে তিনি তাঁর অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ফলে হার্দিকেরই সিংহাসনে বসা উচিত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। সময়ই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন