Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

কীভাবে বুঝবেন শরীরে বাসা বাঁধছে স্তন ক্যান্সার?

 ‌

Breast-cancer

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পাঁচ বছর পর্যন্ত শরীরে লুকিয়ে থাকতে পারে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। ত্রিশ পেরোলেই ভয়।‌ কীভাবে বুঝবেন শরীরে বাসা বাঁধছে এমন ঘোরতর অসুখ? কেবলমাত্র লাম্প থাকলেই ভয়ের, এমনটা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ ছাড়াই শরীরে বাসা বাঁধে এই মারণরোগ। সেক্ষেত্রে কোন কোন লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হবেন? স্তন্যপান করাচ্ছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো তরল পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে? সাথে সাথে কি করবেন জানুন এই প্রতিবেদন থেকে। 

চিকিৎসকদের মতে, এ দেশে ইদানীং স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এদেশে ৩০-৫০ বছর বয়সিরা এই অসুখের শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। তাই, বয়স ২৫ পেরোলেই, অস্বস্তি থাক বা না থাক, চিকিৎসকদের কাছে এসে বছরে একবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, ক্যানসারের একেবারে শেষ পর্যায় রোগ ধরা পড়লে তখন আর কিছু করার থাকে না। 

চিকিৎসকদেরই একাংশ মনে করছেন, বছরে অন্তত একবার স্তন পরীক্ষা করালে এই মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। দু’বছরে এক বার ম্যামোগ্রাফি করানো দরকার। এক্স-রে ম্যামোগ্রাফি, স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, সিটি এবং পিইটি স্ক্যানের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব। স্তন ক্যানসার ২ থেকে ৫ বছর ধরে শনাক্ত নাও হতে পারে এবং তাই উপসর্গহীন ক্যানসারের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব অনেক। 

১) স্তন ক্যানসারের লক্ষণ অনেক সময়ে বাহুমূল বা কলার বোনের তলাতেও দেখা যায়। এছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের লাম্প বা দলা থাকে, যেগুলো চাপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না। এমন কিছু দেখলে আর মাংসপিণ্ডগুলো চাপলে যদি শক্ত লাগে, তাহলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। মনে রাখবেন, স্তনে তৈরি হওয়া মাংসের পিণ্ড সব সময় চামড়ার আড়ালেই থাকে। 

২) কোনওরকম র‌্যাশ নেই স্তনে, তবু চুলকানির মতো অনুভূতি হচ্ছে, এটাও কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ। তাই এমন অস্বস্তি হলে কিন্তু ফেলে রাখা ঠিক হবে না। 

৩) কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও কিন্তু স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কারণ, এই ক্যানসার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলোতে। তাই কোনও কারণ ছাড়াই কাঁধে ব্যথা হলে নিজের মতো ব্যথা উপশমের পথ না খুঁজে, চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।

৪) স্তনে টিউমার থাকলে তা আশপাশের টিস্যুগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে স্তনে একটা ফোলা ফোলা ভাব দেখা যায়। এরই সঙ্গে স্তনে লালচে ভাবও থাকে। স্তনে হাত দিলে বা চাপ দিলে ব্যথাও লাগে। এমনটা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন দ্রুত।

৫) স্তনের আকার বদলে যাওয়াও, স্তন ক্যানসারের অন্যতম ইঙ্গিত। স্তনের আকার বিকৃত হলে কখনও ফেলে রাখবেন না।

৬) অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি কোনও ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয় কিংবা উপুড় হয়ে শুলে যদি ব্যথা লাগে, তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না।

৭) স্তন্যপান করাচ্ছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো তরল পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে, এমনটা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এটা স্তন ক্যানসারের অন্যতম বড় লক্ষণ।

৮) মনে রাখবেন, স্তনবৃন্ত হল শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অংশ। যদি দেখেন যে, স্তনবৃন্ত স্পর্শ করলেও তেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে না, বা একেবারেই অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছে, তবে স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। স্তনের উপরের ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া ক্যানসারের প্রথম পর্যায়ের লক্ষণ। এক্ষেত্রেও দেরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়াই ভাল।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন