সমকালীন প্রতিবেদন : শশা এমন একটি ফল যা প্রায় সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর শশা হয়। তাই আমাদের নিয়মিত শশা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। গোটা বছরের কিছুদিন শশা বাজারে আমদানির ক্ষেত্রে একটু টানাটানি থাকলেও বাকি সময়টায় যথেষ্টই পাওযা যায়। ফলে দাম বেশিরবাগ সময়েই সাধ্যের মধ্যে থাকে। ফলে অন্যান্য ফলের তুলনায় দামের দিক থেকে কিছুটা কমই থাকে শশার।
শশায় আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। শশায় থাকে ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪), প্যানটোথেনিক, বি৫, বি৬, ফোলেট (বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, গ্লুকোজ, স্নেহপদার্থ, ফাইবার, প্রোটিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা, সোডিয়াম, দস্তা, ক্যালোরি। সব থেকে বেশি থাকে জলীয় পদার্থ। ফলে সর্বরোগে শশা অনেকটা মহৌষধের মতো কাজ করে।
শশার উপযোগিতা –
১) শরীরে জলের সাপ্লাই অব্যাহত রাখে।
২) শরীরে প্রচুর ভিটামিন সাপ্লাই দেয়।
৩)সুগার প্রতিরোধে ও কোলেস্টেরল কমাতে শশার বিশেষ ভূমিকা আছে।
৪) শশার জলীয় অংশ শরীরের বর্জ্য ও দূষিত অংশ বের করে দেয়। ফলে নিয়মিত শশা খেলে গলব্লাডার বা কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৫) শশা স্মৃতি শক্তি বাড়ায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৬) শশায় প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম ও সিলিকা থাকায় হার্ট ও ফুসফুস ভালো রাখে।
৭) শশা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৮) শশা বায়ু নাশক, কোষ্ঠিকাঠিন্য দূর করে ও হজম শক্তি বাড়ায়।
৯) প্রচুর সিলিকা থাকায় গাজরের মতো শশাও বাতের রুগীর পক্ষে খুব উপকারী।
১০) শশা শরীরের চামড়ায় জল সাপ্লাই করে বলে চামড়া ভালো থাকে।
এছাড়াও, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী শশা স্তন, জরায়ু ও মূত্রগ্রন্থীর ক্যান্সার রোধ করতে পারে। তাই শশা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের অনেক উপকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন