সমকালীন প্রতিবেদন : বিরাটের ব্যাটে রানের খরা। দীর্ঘদিন ধরেই সেঞ্চুরি হাঁকাতে দেখা যায়নি তাঁকে। যেন চেনা ছন্দ হারিয়েছেন এই কিংবদন্তি। তাই এবার তাঁকেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে বলেছে বিসিসিআই। আর বোর্ডের এই নির্দেশ মেনে প্রায় ১৩ বছর পর রঞ্জি ট্রফি খেলতে চলেছেন বিরাট কোহলি।
আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফি গ্রুপ পর্বের শেষ খেলা। রেলের বিরুদ্ধে দিল্লির শেষ ম্যাচটি খেলবেন কোহলি। তার জন্য প্রস্তুতিও নিতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলির সঙ্গে কথা হয়েছে কোহলির।
সেখানেই রঞ্জি ট্রফিতে খেলার কথা রোহনকে জানান তিনি। এর পরেই ৩০ জানুয়ারি কোহলির রঞ্জি খেলা চূড়ান্ত হয়। কোচ শরণদীপ সিংহও কোহলির খেলার কথা জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজে হারের পর কোচ গৌতম গম্ভীর সব সিনিয়র ক্রিকেটারকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কোহলিও রঞ্জি খেলবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে আচমকাই কোহলির রঞ্জিতে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে রাজকোটে দিল্লির শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কোহলির। তা-ও ছিল অনিশ্চিত। ডিডিসিএ জানিয়েছিল, কোহলির ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে।
ব্যথা না কমলে তিনি রঞ্জির ম্যাচ খেলবেন না। জল্পনাই সত্যি হয়। তবে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জিতে না খেললেও রেলের বিরুদ্ধে খেলবেন কোহলি। বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে ব্যর্থতায় কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
সেই মতো শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থেরা নিজেদের রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার কথা জানান। কোহলি প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, দিল্লির ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের ইতিবাচক বার্তা দেন। তাঁকে প্রাথমিক দলেও রাখা হয়েছে। তার পরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর চোটের খবর।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দিল্লি-সৌরাষ্ট্র রঞ্জি ম্যাচ। এর পর ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রেলওয়েজ বনাম দিল্লির খেলা। এটি রঞ্জি ট্রফি গ্রুপ পর্বের শেষ খেলা। সেই ম্যাচেই খেলবেন কোহলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন