সমকালীন প্রতিবেদন : মহম্মদ শামির কামব্যাকের মঞ্চ হল না ইডেন গার্ডেন্স। কিন্তু সেখানে দাপুটে পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ড বধ করল ভারতের তরুণরা। টেস্টে লাগাতার হারের পর কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও হাসি ফুটল প্রিয় ইডেনে নেমে। ইতিহাস গড়লেন অর্শদীপ সিং। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণির পর অভিষেক শর্মার ঝোড়ো ইনিংসে জয়ী ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল মেন ইন ব্লু।
বুধবারের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু প্রথমেই সকলকে চমকে দেয় ভারতের প্রথম একাদশ। চোট সারিয়ে দলে ফিরলেও এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করতে পারলেন না শামি। তাঁর পরিবর্তে দলে ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। দলে রাখা হয় তিন স্পিনারকে।
ম্যাচের রাশ প্রথম থেকেই ছিল ভারতের হাতে। প্রথম ওভারে বিস্ফোরক ওপেনার ফিল সল্টকে প্যাভিলিয়নে ফেরান অর্শদীপ। ছুঁয়ে ফেলেন ভারতীয় হিসাবে টি-২০তে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপক যুজবেন্দ্র চাহালের নজির। নিজের পরের ওভারে বল করতে এসেই আউট করেন বেন ডাকেটকে।
চাহালের রেকর্ড ভেঙে টি-২০তে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া ভারতীয় হিসাবে নজির গড়েন পাঞ্জাবের পেসার। অর্শদীপের জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে বিপাকে ফেলেন ভারতের স্পিন ত্রয়ী। তিন উইকেট তুলে নেন বরুণ। জোড়া উইকেট অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে।
কোনও উইকেট না পেলেও আঁটসাট বোলিং করেন রবি বিষ্ণোই। কোনওমতে ২০ ওভারের শেষে ১৩৩ পর্যন্ত পৌঁছয় ইংল্যান্ড। যে পিচে রান তুলতে কালঘাম ছুটছিল হ্যারি ব্রুকদের, সেই পিচেই ব্রিটিশ বোলিং লাইনআপকে কচুকাটা করলেন অভিষেক। ওপেন করতে নেমে সংহারমূর্তি ধারণ করলেন।
মাত্র ৩৪ বলে ৭৯ রান করে তিনি যখন আউট হন, তখন ভারতের জয় নিশ্চিত। ওপেন করতে নেমে ২৬ রান আসে সঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে। ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক বর্মাও। ৪৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মেন ইন ব্লু।
ম্যাচের আগে কালীঘাটে গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন গম্ভীর। সেই প্রিয় ইডেন এবারও নিরাশ করল না জিজিকে। ইংল্যান্ড বধের পর স্বস্তির হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ভারতীয় দলের হেডস্যর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন