সমকালীন প্রতিবেদন : অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহিলা দলকে ৫০ রানেরও গণ্ডি পার করতে দেয়নি ভারতীয় দল। দাপুটে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আরও দাপটের সঙ্গে জয় পেল ভারতীয় মহিলা দলের জুনিয়ররা। ১০৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে হারাল আয়োজক দেশকে।
ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক বৈষ্ণবী শর্মা। ইতিহাস গড়লেন তরুণী। প্রথম ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে করলেন হ্যাটট্রিক। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতীয় দল টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। জোশিথা শুরুতেই ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ভারতকে সাফল্য এনে দেন।
আরেক ওপেনার নুর আলিয়া রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। আয়ুষী শুক্লা পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট নিলে ১৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়োজক মালয়েশিয়া। এরপর বাঁ-হাতি স্পিনার বৈষ্ণবীর দাপট শুরু হয়। তাঁর স্পিন ভেল্কিতে কার্যত নাকানি চোবানি খায় মালয়েশিয়ার ব্যাটাররা। নূর ও নুরিমানকে ফেরান তিনি।
চার ওভার পরে তিনিই বল হাতে ফের একবার প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করেন। হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন বৈষ্ণবী। ভারতীয় স্পিনার চার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট নেন। বিনতিকে আউট করে আয়ুষী ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেটটি নিলে, মাত্র ৩১ রানেই শেষ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার ব্যাটিং ইনিংস।
ম্যাচ জয়ের জন্য কাঙ্খিত লক্ষ্য একেবারেই বেশি ছিল না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারতীয় ওপেনাররা বেশি সময়ও নষ্ট করেননি। তৃষা ও কামালিনি মাত্র ১৭ বলেই বিনা উইকেটে ৩২ রান তুলে নেন। তৃষাই সর্বাধিক ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১০৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
বৈষ্ণবীকেই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত করা হয়। এই জয়ের সুবাদে ফের একবার গ্রুপ 'এ'-র শীর্ষে পৌঁছে গেল ভারতীয় দল। ওমেন ইন ব্লুর নেট রান রেট ৯.১৫। এখনও গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। খুব হেরফের না হলে ভারতীয় দলের এই নেট রানরেটই সুপার সিক্সে তাঁদের জায়গা কার্যত পাকা করে দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন